
বরিশালের বাবুগঞ্জে নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই একটি বক্স কালভার্টে ফাটল দেখা দিয়েছে। উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের ডিক্রিরচর গ্রামের বায়তুল আমান জামে মসজিদ সংলগ্ন খালের ওপর প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্মাণে অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই কালভার্টটিতে ফাটল ধরেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরও অভিযোগ করেছেন যে, বক্স কালভার্টের ফাটল বন্ধ করতে ঠিকাদারের লোকজন রাতের আঁধারে সিমেন্টের প্রলেপ দিয়েছেন। এরপরও কয়েকটি স্থানে ফাটল এখনও দৃশ্যমান রয়েছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, সেতুটির কাজ শেষ হলেও গাইড ওয়ালে ফাটল ও গাইড ওয়াল ভেঙে পড়েছে। ফাটলের স্থানে বালু ও সিমেন্ট দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে। সূত্র মতে, জুন ক্লোজিংয়ের আগে একই সেতুতে ১৬ মিলিমিটার রডের জায়গায় ১২ মিলিমিটার রড ব্যবহার করে রাতের আঁধারে বেইজের কাজ করা হয়েছিল।
বক্স কালভার্টের নির্মাণ কাজ রাতের আঁধারে হচ্ছে, এই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আহমেদ এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহেল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাঁরা ঠিকাদারকে দিনের বেলায় জনসম্মুখে কাজ করার নির্দেশ দেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দে সেতুটি (প্রায় ৪০ লাখ টাকায়) নির্মাণ কাজ পায় সালেহা কবির এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজটি বাস্তবায়ন করছেন সাব-ঠিকাদার মনির হোসেন।
স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গাইড ওয়াল ভেঙে ফেলার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেন। এদিকে বক্স কালভার্ট নির্মাণকালে কোনো তদারকি হয়নি বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী সালেহ কবির জানান, সাব-ঠিকাদার মনির হোসেন গাইড ওয়াল নির্মাণের পর পর্যাপ্ত পানি না দেওয়ায় ফাটল ধরেছে। স্থানীয়দের মতামতের ভিত্তিতে গাইড ওয়ালটি নতুন করে নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।
নির্মাণাধীন বক্স কালভার্টে ফাটলের কথা স্বীকার করে বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সোহেল হোসেন বলেন, নির্মাণাধীন বক্স কালভার্টের কাজের বিল এখনও ঠিকাদার পাননি। ঠিকাদারকে নতুন করে গাইড ওয়াল নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর