
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার ১০নং কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার মাহমুদ সুফলের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। ইউপি সদস্যদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান সুফল মাহমুদ ৬ জন সদস্যের স্বাক্ষর নকল করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) নিকট অনাস্থা প্রত্যাহারপত্র জমা দিয়েছেন।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ইউনিয়নের সব সদস্য বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) একত্রিত হয়ে ইউএনও'র কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন এবং এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।
এ সময় প্যানেল চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান ঢাকায় থাকায় পরিষদে নিয়মিত উপস্থিত হন না। বিশেষ করে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি কার্যক্রমে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। ফলে ইউনিয়নের কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়ে এবং সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। আমরা এ সকল কারণে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিই। পরে চেয়ারম্যান আমাদের ৬ জনের স্বাক্ষর জাল করে ইউএনও স্যার বরাবর অনাস্থা প্রত্যাহার পত্র জমা দেন। আমরা অনাস্থা প্রত্যাহার পত্রে কোনো স্বাক্ষর করিনি। এছাড়াও অনাস্থা প্রত্যাহার করার জন্য চেয়ারম্যান আমাদের নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ১নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. তামজিদ হোসেন, ২নং ওয়ার্ড মেম্বার আফসার উদ্দিন, ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার লিয়াকত আলী মোল্লা, ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার আনিছুর রহমান, ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার বাবুল হোসেন, ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম, ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার আক্কাস আলী, ১-২-৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য চম্পা খাতুন, ৪-৫-৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য সুফিয়া খাতুন, ৭-৮-৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রোকেয়া খাতুন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস. এম. আবু দারদা বলেন, “অনাস্থা পত্র ও অনাস্থা প্রত্যাহার- দুটিই পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এর আগে গত ২০ আগস্ট ইউনিয়ন পরিষদের ১২ জন সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছিলেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর