
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে সৌন্দর্যবর্ধন ও আলোকসজ্জার জন্য স্থাপন করা লাইটগুলো ভাঙচুর করা হয়েছে। স্থাপন করা ১৩৫ বোলার্ড ও গার্ডেন লাইটের মধ্যে প্রায় ৯৫টি লাইট অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ভেঙে ফেলেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি কিছুই জানে না বলে জানিয়েছে।
এদিকে প্রক্টরিয়াল বডি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান (Faze) বিষয়টি নিয়ে দায় এড়াতে দেখা গেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান (Faze) শুরুতে দাবি করে, গাড়িতে নিয়ে যাওয়া-আসার কারণে কিছু লাইট ভেঙে গেছে এবং পরবর্তীতে সেই ভাঙা লাইটগুলোই লাগানো হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে তারা জানায়, “ভালো লাইটগুলোই লাগানো হয়েছে। পরে এসে দেখি অনেক লাইট ভাঙা। যেহেতু কাজটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি, তাই এর মেরামতের দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানকে নিতে হচ্ছে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, “কে বা কারা লাইট ভাঙছে তা এখনও শনাক্ত করা যায়নি। সিসিটিভি বিশ্লেষণ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে লাইটগুলো সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেরামত করে দিচ্ছে।”
তবে প্রক্টর সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে কথা বললেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফেজ (Faze) দাবি করেছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তারা ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজে এ বিষয়ে কিছুই পাওয়া যায়নি।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, “ক্যাম্পাসের ভেতরে কে বা কাহারা এসে গোপনে লাইট ভাঙচুর করে গেছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন টেরই পেল না। এটি গাফিলতি ছাড়া আর কিছুই নয়।" তারা আরও বলেন, “অপরাধীদের সনাক্ত করতে দ্রুত সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করতে হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে নতুন করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। নইলে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটবে।”
অন্যদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফেজ (Faze) জানায়, গত মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বর ও প্রশাসন ভবন চত্বরের বাগানে ১৯৫টি লাইট তারা স্থাপন করে তারা। কাজটি করতে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতিটি লাইটের দাম ধরা হয়েছিল ৪৫০ টাকা। তবে পরবর্তীতে এসে তারা দেখতে পান, অনেক লাইট ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে ভাঙচুর হওয়া ৯৫টি লাইটের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৪২ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে ফেজ প্রতিষ্ঠানের মালিক হাসিবুর রহমান বলেন, *“কাজটি এখনও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। তাই ভাঙচুরের বিষয়টি আমাকেই রিকভার করতে হচ্ছে। এতে আমার ব্যাপক লোকসান হচ্ছে।* তবুও আমি প্রতিষ্ঠানের রেপুটেশনের কথা চিন্তা করে কাজটি করে যাচ্ছি।"
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) এ. কে. এম. শরীফ উদ্দিন বলেন, “যদি লাইটগুলো আগে থেকেই ভাঙা থাকে তাহলে সেটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেখবে। আর কেউ ভেঙে ফেললে তা আলাদা বিষয়। তবে এখন পর্যন্ত নতুন করে কোনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি।”
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর