
আয়ের উৎস আড়াল করে ব্যাংকে হাজার কোটি টাকার ‘সন্দেহজনক’ লেনদেন এবং ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জনে আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য দিদারুল আলম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এ আলাদাভাবে দুটি মামলা দায়ের করেছেন। দুদক চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ মামলা দুটি রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর মধ্যে একটি মামলায় শুধুমাত্র দিদারুল আলমকে আসামি করা হয়েছে। আরেকটি মামলায় স্ত্রী ইসমত আরা বেগমের সঙ্গে দিদারুলকেও আসামি করা হয়েছে।
দুদক একটি মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেছে, আসামি দিদারুল আলম জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। ২০টি ব্যাংক হিসাবের বিপরীতে তার ৪৭৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা জমা ও ৪৭২ কোটি ৯০ লাখ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৯৪৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা হস্তান্তর ও স্থানান্তর করেছেন। এটি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ৩৪ (৩) ধারার অপরাধ।
অপর মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামি ইসমত আরা অসাধু উপায়ে ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। এসব সম্পদ উপার্জনে সহযোগিতা করেছেন তার স্বামী সাবেক এমপি দিদারুল আলম। এ কারণে মামলাটিতে দুজনকে আসামি করা হয়।
দিদারুল আলম বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড ও নগরীর একাংশ) আসন থেকে ২০১৪ সালে ও ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে আছেন দিদারুল আলম।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর