
গাজা নগরীতে ইসরায়েলের বিমান হামলা তীব্র হয়েছে; গত এক দিনে প্রায় ৫৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত, সরব হয়েছে ধ্বংসযজ্ঞ। গাজা সিটির অন্তত ১৬টি ভবন ধ্বংস করা হয়েছে, যার মধ্যে তিনটি উচ্চ-আবাসিক টাওয়ার। নিহতদের মধ্যে প্রায় ৩৫ জন ছিলেন গাজা সিটির বাসিন্দা।
দূর্ভিক্ষে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা গত রেকর্ড থেকে আরও বাড়িয়ে ৪২২ জনে ছোঁয়, এই তথ্য দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দারিদ্র্য, খাদ্য ও পুষ্টির অভাবে এই মৃত্যু বাড়ছে বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে।
গাজা নগরীর অবস্থা ক্রমেই ভয়াবহ হচ্ছে; সেখানকার বাসিন্দাদের উত্তরে পালিয়ে আসতে হচ্ছে, তবে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবেও পরিচিত এলাকা - “আল-মাওয়াসি” - ওপরে হামলায় উদ্বিগ্ন ছেড়ে দিচ্ছেন অনেকেই।
আন্তর্জাতিক খাদ্য নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক সংস্থা IPC (Integrated Food Security Phase Classification) প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে, গাজা গভর্নরেট ও আশেপাশের এলাকায় দুর্ভিক্ষ (Phase 5) প্রায় পুরোপুরি সত্যি, এবং কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণাঞ্চলেও এটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রায় ৪৭০,০০০ মানুষ বর্তমানে হুমকিতে রয়েছে সর্বোচ্চ খাদ্য সংকটের মুখে।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে; হাসপাতালগুলি অতিরিক্ত চাপের মুখে, ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রীর অভাব, পরিষ্কার পানি, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোর ধ্বংস ঘটেছে, যা মৃত্যু ও রোগ-সংক্রমণ উভয়কেই বাড়াচ্ছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া তীব্র: মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘ বলছে, অবরোধ শিথিল করা হোক, হুমানিটারিয়ান সহায়তা যেন অবাধে পৌঁছাতে পারে, এবং যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নেওয়া হোক—যাতে আরও প্রাণহানী রোধ করা যায়।
সর্বশেষ খবর