
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও রাজনৈতিক পর্ষদের সদস্য আবদুল হান্নান মাসউদ জীবনের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছেন। তিনি নীরবেই সেরে ফেলেছেন বাগদান। বাগদান সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) নেত্রী শ্যামলী সুলতানা জেদনীর সঙ্গে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মাসউদ-জেদনীর আনুষ্ঠানিক বাগদান অনুষ্ঠিত হয়।
হান্নান মাসউদের বাগদানের খবর প্রকাশের পর থেকেই তার বাগদত্তা জেদনীকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তার আইডি দাবি করে হান্নান মাসউদকে কটাক্ষ করে দেওয়া পোস্টের স্ক্রিনশট বেশ ভাইরাল হতে শুরু করে। ‘শ্যামলী সুলতানা জেদনী ২ মাস আগে হান্নান মাসউদকে ভিক্ষুকের বাচ্চা বলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন এবং এরপর জেদ থেকেই হান্নান মাসউদ সেই মেয়েকে জোরপূর্বক বিয়ে করছেন’—এমন একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়। তবে দাবিটি মিথ্যা।
ফ্যাক্ট চেকিং সাইট রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাগছাস নেত্রী শ্যামলী সুলতানা জেদনী ফেসবুকে এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদকে উদ্দেশ্য করে ‘ভিক্ষুকের বাচ্চা’ বলে কোনো পোস্ট দেননি বরং, গত ১১ জুনে হান্নান মাসউদকে নিয়ে করা ভিন্ন এক পোস্টের ক্যাপশন বিকৃত করে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধানে শ্যামলী সুলতানা জেদনীর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ১১ জুনে হান্নান মাসউদকে উদ্ধৃত করে দেওয়া একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে সংযুক্ত ছবি, পোস্টের তারিখ এবং অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল পিকচারে থাকা ছবির হুবহু মিল রয়েছে। তবে, এই পোস্টটির ক্যাপশনের সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত স্ক্রিনশটে থাকা পোস্টের ক্যাপশনের কোনো মিল নেই।
এ ছাড়া শ্যামলী সুলতানা জেদনীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত দাবি সংবলিত ক্যাপশনের কোনো পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি। যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, জেদনীর এই পোস্টটি সম্পাদনা করেই আলোচিত দাবি সংবলিত স্ক্রিনশটটি তৈরি করা হয়েছে।
মূল পোস্টের ক্যাপশনে, শ্যামলী সুলতানা জেদনী লিখেছেন, ‘হান্নান মাসউদের নেতৃত্বকে আপনারা অস্বীকার করছেন, গুলিবিদ্ধ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, মশকরা করছেন। অথচ আপনাদের উচিত ছিল যাদের কারণে গুলিবিদ্ধ হইছে তাদেরকে উৎখাত করার বন্দোবস্ত করা।’
অর্থাৎ, হান্নান মাসউদকে কটাক্ষ করে শ্যামলী সুলতানা জেদনী ফেসবুকে এমন কোনো পোস্ট করেননি।তার নাম দাবি করে প্রচারিত স্ক্রিনশটটি সম্পাদিত।
উল্লেখ্য, হান্নান মাসউদের বাগদত্তা শ্যামলী সুলতানা জেদনীর বাড়ি লক্ষ্মীপুর। তিনি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য (সংগঠক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ থেকে পদত্যাগ করেন জেদনী। এ ছাড়া জেদনী বাগছাসের মিডিয়া সেলের সহ-সম্পাদক হিসেবেও আছেন।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর