
সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (মির্জাপুর সার্কেল) আদনান মুস্তাফিজ বলেছেন, উৎসব উৎসবের মতোই উদযাপিত হবে। ইতোপূর্বেও মির্জাপুরে উল্লেখযোগ্য কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এবারো ঘটবেনা। এখানকার মানুষের মধ্যে সেই সৌহার্দ্য সম্প্রাতি রয়েছে। আমরাও সচেষ্ট রয়েছি।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে মির্জাপুর থানা অভ্যন্তর প্রাঙ্গণে আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায় বক্তব্যকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। সভায় উপজেলার ২৫৮টি পূজা মণ্ডপের দায়িত্বশীলসহ প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
এবার উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে মহেড়া ইউনিয়নে ১৫টি, জামুর্কী ইউনিয়নে ৩৩টি, ফতেপুর ইউনিয়নে ১৭টি, বানাইল ইউনিয়নে ১৬টি, আনাইতারা ইউনিয়নে ১১টি, ওয়ার্শী ইউনিয়নে ১৫টি, ভাতগ্রাম ইউনিয়নে ৩২টি, বহুরিয়া ইউনিয়নে ১৩টি, গোড়াই ইউনিয়নে ১৯টি, আজগানা ইউনিয়নে ৪টি, তরফপুর ইউনিয়নে ৯টি, বাঁশতৈল ইউনিয়নে ২টি, লতিফপুর ইউনিয়নে ১৭টি, ভাওড়া ইউনিয়নে ৪টি এবং পৌরসভা এলাকার মোট ৫১টি মণ্ডপে এই পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রস্তুতিমূলক সভা থেকে জানা গেছে।
সভায় প্রত্যেক পূজা মন্ডবে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্বে থাকাদের রেজিষ্টার ব্যবস্থাপনা করা, মণ্ডপে ডিজে গান পরিবেশন থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে দেওহাটা ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. গিয়াস উদ্দিন (পিপিএম), বাঁশতৈল ফাঁড়ি ইনচার্জ মিজান, সনাতন ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য স্বপন কুমার মÐল, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবু প্রমথেস গোস্বামী, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্্রন্টের আহ্বায়ক তারাপদ সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর