
বগুড়ার শেরপুরে হাফ ডজন মাদক মামলা ও একটি অস্ত্র মামলার আসামি হাবিবুর রহমান সুমন (৩৬) মাদকাসক্ত অবস্থায় গালিগালাজ ও মাতলামি করছিলেন। গালিগালাজ থেকে বিরত থাকতে বলায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী মন্টু শেখকে মারধর করে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার সন্ধ্যায় ছোনকা বাজার এলাকায়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ভুক্তভোগী মন্টু শেখ বাদী হয়ে শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, ছোনকা ডাক্তারপাড়া এলাকার মৃত বায়েজিদ হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে ছয়টি মাদক মামলা ও একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে। তিনি জামিনে থেকে ছোনকা বাজার এলাকায় মুরগির ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায়ই মাদক সেবন করে এসে হাবিবুর রহমান সুমন বাজারের লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং মুরগির দোকানের চাকু নিয়ে স্থানীয়দের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় একইভাবে মাতলামি ও স্থানীয়দের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিলেন। প্রতিবেশী দোকানদার ছোনকা উত্তরপাড়া এলাকার সোবাহান শেখের ছেলে স্বর্ণ ব্যবসায়ী মন্টু শেখ তাকে গালিগালাজ থেকে বিরত থাকতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুমন মন্টু শেখকে মারধর করে রক্তাক্ত করেন। পরে স্থানীয় ও মন্টুর স্বজনেরা একত্র হয়ে হাফ ডজন মাদক মামলা ও একটি অস্ত্র মামলার আসামি হাবিবুর রহমান সুমনকেও মারধর করলে তিনি রক্তাক্ত হন। উভয় পক্ষকেই আহত অবস্থায় শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় জানান, হাবিবুর রহমান সুমন এর আগে মিরাজ মাস্টার নামের একজনের কান চাকু দিয়ে কেটে দিয়েছেন এবং কসাই আলতাব হোসেনের গলায় ছুরি ধরেছিলেন। তিনি প্রায়ই মাদকাসক্ত থাকেন, মাদক ব্যবসাও করেন এবং কেউ প্রতিবাদ করলে অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান সুমন বলেন, মন্টু শেখের কাছে আমার ৮০০ টাকা পাওনা ছিল। সেই টাকা চাইতে গেলে বাকবিতণ্ডা হয়, পরে তার স্বজনদের ডেকে এনে আমাকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে ৬টি মাদক মামলা ও একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে। গতকালের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর