
টাঙ্গাইলের সখীপুরে জনপ্রিয় হচ্ছে বায়োগ্যাস প্লান্ট। পচনশীল আর পশুর বর্জ্যের যথাযথ ব্যবহার, স্বল্প খরচ, পয়ঃনিস্কাশন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং দূষণ মুক্ত পরিবেশ ধরে রাখতে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনের জন্য এলাকাবাসী ঝুঁকছে ডেইরি ও পোল্ট্রি খামারের দিকে।
প্রতিদিন রান্নার কাজে জ্বালানি কাঠের ব্যবহার কমিয়ে আনা এবং বন উজাড় রোধ করে দেশের উন্নয়ন এবং দূষণমুক্ত পরিবেশ ধরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। এছাড়াও স্বল্প খরচে গ্রামীণ গৃহস্থালিদের মাঝে গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে সহজতর হচ্ছে রান্নাবান্নার কাজ। আর গৃহিনীরা মুক্ত থাকছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে। বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনের জন্য এলাকাবাসি ঝুঁকছে ডেইরি ও পোল্ট্রি খামারের দিকে। যা কিনা দেশের উন্নয়নে সহযোগিতার কাজ করছে।
উপজেলা যুব উন্নয়ন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সখীপুরে বেশ কয়েকটি গ্রামে উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদফতরের উদ্যোগে 'ইমপ্যাক্ট বায়ু গ্যাস প্রকল্পে'র আওতায় ট্রেনিং ও ঋণদানের মাধ্যমে বায়ুগ্যাস প্লান্ট কার্যক্রম জনপ্রিয় করতে কাজ করছে।
উপজেলার নলুয়া গ্রামের তসলিমা আক্তার বলেন, ডেইরি ফার্মের বর্জ্য দিয়ে উপজেলা যুব উন্নয়ন কার্যায়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহযোগিতার মাধ্যমে ১ লাখ ৫০ টাকা ঋণ নিয়ে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করেছি। এখন রান্না করা খুবই সহজ হয়েছে। আমাকে দেখে অনেকেই বায়ু গ্যাস প্লান্টে আগ্রহী হচ্ছে।
কালমেঘা গ্রামের সালমা আক্তার বলেন, আমি উপজেলা যুব উন্নয়ন কার্যালয় থেকে ট্রেনিং নিয়ে নিজ উদ্যোগে বায়ুগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করেছি। আমার গরুর খামারের গোবর দিয়ে বায়োগ্যাস উৎপাদন করি।
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ শাকের বলেন,‘বায়ুগ্যাস প্লান্ট স্থাপনের জন্য প্রশিক্ষণ ও সহজ শর্তে বিশ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বিনামূল্যে কারিগরি সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল রনী বলেন,‘এটি একটি ভালো উদ্যোগ, সাধারণ মানুষের কাছে এটি গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। এছাড়া সরকারের এ প্রকল্পকে ঠিকিয়ে রাখতে সামাজিকভাবে মানুষকে উদ্ধুদ্ধকরণে বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর