
কক্সবাজারের টেকনাফে একটি হত্যা মামলার এজাহার পুলিশ কর্মকর্তারা পরিবর্তন করে দিয়েছেন- এমন অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন নিহতের ভাই। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টেকনাফের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বাদী শামসুল আলম। আদালতের বিচারক আসাদ উদ্দিন মো. আশিক অভিযোগটি গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আবদুল মান্নান।
বাদীপক্ষের অভিযোগ, গত ১৮ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়ায় এমদাদ হোছন (৪৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই শামসুল আলম (৩৮) দুই দিন পর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলার এজাহার পরিবর্তন করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
শামসুল আলমের দাবি, সুরতহাল প্রতিবেদনে স্পষ্ট উল্লেখ ছিল তাঁর ভাইয়ের গলার কণ্ঠনালী থেকে কান পর্যন্ত কেটে দেওয়া হয়েছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত আছে। তিনি সেই তথ্য অনুযায়ী এজাহার করেছিলেন। কিন্তু আদালতে পাঠানো নতুন এজাহারে এসব তথ্য নেই।
তিনি অভিযোগ করেন, টেকনাফ থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর ও ওসি (তদন্ত) হিমেল রায় তাকে থানায় ডেকে নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের উপস্থিতিতে চাপ প্রয়োগ করেন। ভয়ভীতি ও প্রলোভনের পর পুলিশ নিরক্ষর বাদীর কাছ থেকে নতুন এজাহারে স্বাক্ষর নেয়। বাদীর দাবি, আসামিদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েই এজাহার বদলে দেওয়া হয়েছে।
শামসুল আলম আরও বলেন, তার দেওয়া এজাহারে প্রধান আসামি হিসেবে আবদুর রহমানের (৩৫) নাম ছিল। কিন্তু পুলিশের পাঠানো এজাহারে তার নাম নেই। আমার দেওয়া এজাহার আর পুলিশের পাঠানো এজাহারের মধ্যে আকাশ- পাতাল পার্থক্য। তাই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ সেকান্দর সাঈম বলেন, বাদীর অভিযোগের বিষয়ে শুনেছি। তবে তার দেওয়া এজাহারের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বাদীকে ডেকে আনার বিষয়টি সত্য নয়।
তিনি দাবি করেন, পুলিশ বাদীকে সহযোগিতা করছে এবং ইতিমধ্যে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি (তদন্ত) হিমেল রায় বলেন, ঘটনাটি মনে পড়ছে না। আমি বর্তমানে ডিআইজি অফিসে আছি। পরে বিস্তারিত বলতে পারব।
ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর বলেন, আদালতে কে কী অভিযোগ করেছেন, তা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারব না।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর