
গাজায় ইসরায়েলের তীব্র বোমা হামলায় হাসপাতাল ও বহু তলা আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়েছে। স্থানীয় চিকিৎসকরা একে “ভয়াবহ পরিস্থিতি” বলে বর্ণনা করেছেন।
গাজার সবচেয়ে বড় আল-শিফা হাসপাতালে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। হাসপাতালের মেডিকেল পরিচালক হাসান আল-শাইর জানিয়েছেন, প্রচণ্ড ভয় ও অনিশ্চয়তার মধ্যে চিকিৎসক ও নার্সরা জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। জীবনরক্ষাকারী ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি রয়েছে। প্রায় ১০০ জন রোগী বর্তমানে অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
ইসরায়েলি ট্যাংক ঘেরাও করে রেখেছে আল-হেলোউ হাসপাতাল, যেখানে ক্যান্সার ওয়ার্ড ও নবজাতক বিভাগ রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে থাকা ৯০ জনেরও বেশি ডাক্তার, নার্স ও রোগী বের হতে পারছেন না।
গাজা সিটির রেমাল ও সাবরা এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী একের পর এক বহুতল ভবন ধ্বংস করেছে। মেক্কা টাওয়ারসহ অন্তত ৫০টি বহুতল ভবন সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যেখানে হাজার হাজার মানুষ বসবাস করতেন।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদক ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন, হামলাগুলো ছিল “বৃহৎ ও নির্মম”, যেখানে ড্রোন হামলা, মর্টার শেল এবং ভারী বোমা ব্যবহার করা হয়েছে।
জাতিসংঘের এক তদন্তকারী প্যানেল গাজায় চলমান এই যুদ্ধকে “গণহত্যা” হিসেবে উল্লেখ করেছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি শিগগিরই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ও কয়েকটি আরব দেশের সঙ্গে গাজা শান্তি পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে যাচ্ছেন। তবে হামাস জানিয়েছে, তারা এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পায়নি।
গাজায় ক্রমবর্ধমান সহিংসতায় মানবিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক মহল অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছে।
সর্বশেষ খবর