
নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার, বালু উত্তোলন ও দখলদারিত্বকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেক হোসেন (৪২) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০ জন। সোমবার ভোর ৪টার দিকে আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামে বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। নিহত সাদেক হোসেন মুরাদনগর গ্রামের রুপ মিয়ার ছেলে। গত ১২ দিনের ব্যবধানে এ নিয়ে উভয় গ্রুপের সংঘর্ষে নারীসহ তিনজন নিহত হলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আধিপত্য বিস্তার ও বালু উত্তোলনের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এর জেরে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভোরে সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী ইদন মিয়া (৫৫) নিহত হন। পরদিন ১৯ সেপ্টেম্বর ফেরদৌসী বেগম (৪২) নামে এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উভয় গ্রুপের মধ্যে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়িত রয়েছেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের যৌথ অংশগ্রহণের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই এ এলাকায় দ্বন্দ্ব চলে আসছে।
এই প্রেক্ষাপটে সোমবার ভোরে পুনরায় চার গ্রামের দখল নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। একপর্যায়ে সংঘর্ষে সাদেক হোসেন নিহত হন।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ফরিদা গুলসানারা কবির বলেন, নিহত অবস্থায় আমাদের এখানে গুলিবিদ্ধ একজনকে নিয়ে আসা হয়। আহত অবস্থায় আরও কয়েকজনকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সংঘর্ষের পর সদর হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে যমুনা টিভির নরসিংদী প্রতিনিধি হামলার শিকার হন। সংঘর্ষ ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তিনটি পৃথক মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নরসিংদীর জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আলোকবালীর চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের গুলিতে সাদেক নামের একজন নিহত হয়েছেন। কয়েকজন আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর