
উচ্চ আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে ১৯৯৪ সালের চাকুরীচ্যুত আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যদের খিলগাঁও সদর দপ্তর গেইটে অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে গত ৯৬ দিন ধরে। মহামান্য উচ্চ আদালতের রায়ের পরও রায় বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে আজ ২৯/৯/ ২০২৫ইং রাজধানী ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটির বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভুক্তভোগী আনসার সদস্যরা।
অত্যন্ত দুঃখের সাথে তারা অভিযোগ করেন, হাইকোর্টের রায় দেওয়ার পরও ডিজি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টনক নড়ছে না কেন? সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নায়েক রুহুল আমিন তালুকদার ও এ.পি.সি মোঃ মোজাম্মেল হক। তারা বলেন, ১৯৯৫ সালে ব্যাটালিয়ন আনসার যে সুযোগ সুবিধা ভোগ করিতেছে এই দাবিগুলো ছিল আমাদের। কিন্তু ১৯৯৪ সালে এই দাবি দাওয়া চাওয়ার প্রেক্ষিতে ২৪৯৬ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। অন্যদিকে বিচারের আগে চাকুরি থেকে বহিষ্কার করে। ০৯ মাস পর ১২০ জনকে আটক রাখিয়া বাকি সবাইকে বেকুসুর খালাস করে। আটককৃত ১২০ জন ২০০০ সনে পর্যায়ক্রমে সব খালাস।
রায়ের কপি দিয়ে স্বরাষ্ট্র ও ডিজি আনসারের সাথে যোগাযোগ করে কোন লাভ হয় নাই। পরবর্তীতে ২০০২ সালে মহামান্য হাই কোর্টে ১০ জন বাদী হয়ে মামলা করি। যাহার নাম্বার ৪৬৬/২। উক্ত মামলায় সরকার ১০ জনকার বিরুদ্ধে কাউন্টার মামলা করে। যাহার নাম্বার ৮২/৩ সি.এম.এম আদালত। উক্ত মামলা ২০১৩ সালে স্বাক্ষি প্রমাণে বেকুসুর খালাস পাই। এতে স্বরাষ্ট্র ও ডিজি আনসার কোন গুরুত্ব দেয় নি। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে রুহুল আমিন ও মোজাম্মেল বাদী হয়ে মহামান্য হাই কোর্টে মামলা করি। যাহার মামলা নাম্বার ১০৪৫৮। ২০১৭ সালে ১০৪৫৮% মামলায় সরকার কোর্ট আমাদের পূণাঙ্গ রায় প্রদান করে । এতে স্বরাষ্ট্র ও ডিজি আনসার কোন গুরুত্ব দেয় নি। পরবর্তীতে তড়িঘড়ি করে সরকার আপিল করে। আপিলে লিফট টু আপিলে যায় । যাহার নাম্বার ১৭৫, ১৭৬. ১৭৭। উক্ত মামলায় ২০২২ সালে ব্যাটালিয়ন আনসারদের পক্ষে রায় প্রকাশ করে।
তথাকথিত ডিজি আনসার মহোদয় কোন সুরাহা না করায় টাইমের আবেদন রিভিউ করি। ২০২৫ সালে ০২ এ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি ব্রান্স ২০২২ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। তারা সালে রায় বহাল করে মামলাটি খারিজ করে। আবারও আবেদন নিবেদন করি ডিজি আনসার কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় ২৯শে জুন ২০২৫ইং তারিখ হইতে খিলগাঁও আনসার সদর দপ্তর গেইটে আমরণ ও অবস্থান কর্মসূচি চলমান । আজ ৯৬ দিন যাবত ঝড় বৃষ্টি বাদল অনাহারে রোগ ব্যাধি নিয়ে ফুটপাতে পড়ে আছি। অতি মুশার কামড়ে তাবু থেকে রোগ নিয়ে বাড়িতে গিয়ে মারা গেছে ২, ৩ জন। বর্তমান সরকার বাংলাদেশের সবার সরকার। সবার অর্থ জোগাইতে পারে। সকলেরই দাবি মানিয়ে নিতে পারে।
কিন্তু কোর্টের রায় প্রাপ্ত ব্যাটালিয়ন সদস্যদের কোন সরকার নাই। তাদের অর্থও নাই । এদের দাবি শুনার ও দেখার কেউ নাই। আমাদের সরকার চাকুরি খেয়েছে ডিজি মহোদয় ও স্বরাষ্ট্র মহোদয় । তারাই আমাদের সরকার। তাদের গাফিলতির কারনে আমাদের চাকুরিতে যোগদান দিচ্ছে না এবং কোন খোঁজ খবরও নিচ্ছে না। কি কারনে তারা এ দেশের কোর্টের আইন অনিহা প্রকাশ করিতেছে,তাহা আমাদের জানা প্রয়োজন। সকল সাংবাদিক ও মিডিয়া ভাই বোনদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ থাকল যেন বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী উচ্চ আদালতের রায় সরকার বাস্তবায়নে কতটুকু শ্রদ্ধাশীল হয়, যাহা দেখে দেশবাসিও আইনকে শ্রদ্ধা করবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর