
সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভোলার ১৯ জন জেলেকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁদের খোঁজ না পাওয়ায় চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন স্বজনরা। আটক জেলেদের মুক্ত করে দেশে ফেরাতে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছে অসহায় পরিবারগুলো।
আটক জেলেরা সবাই ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে আছেন—ফিশিংবোট মালিক সফিজল মাঝি, শাহ আলম, ছিডু মুন্সি, আক্তার হোসেন, রাজিব চন্দ্র দাস, মিন্টু হাওলাদার, ফরিদ, আলমগীর, ফরিদ মাঝি, ইউনুছ, বাবুল সরদার, নিরব হোসেন, ইসমাইল, শাহে আলম হাওলাদার, গৌতম চন্দ্র দাস, জাকির, ছগির সিকদার, টুটুল ও শহীদুল ইসলাম।
স্বজনরা জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ফিশিংবোট মালিক সফিজল মাঝির নেতৃত্বে ১৯ জেলে সমুদ্রগামী হন। ছয় দিন মাছ শিকারের পর ট্রলারটি ফেরার পথে ঝড়ের কবলে পড়লে সেটি ভেসে যায় ভারতের জলসীমায়। পরে ১২ সেপ্টেম্বর বিএসএফ তাঁদের আটক করে ফিশিংবোট, জাল ও আহরিত মাছসহ ভারতের আলীপুর আদালতে সোপর্দ করে।
সফিজল মাঝির স্ত্রী বলেন, “দুই বছর আগে ধারদেনা করে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচে স্বামী বোটটি কিনেছিলেন। দেনা এখনো শোধ হয়নি। আটক হওয়ার পর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ পাচ্ছি না।”
আটক মিন্টু হাওলাদারের ছোট মেয়ে রিয়া মনি কাঁদতে কাঁদতে জানায়, “আব্বু যাওয়ার আগে আমাকে পিঠা খাইয়ে গেছেন। বলেছিলাম, লইট্টা মাছ নিয়ে আসবেন। কিন্তু আব্বু এখনো আসছেন না।”
আটক জেলেদের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা বলেছেন, এসব পরিবার এখন নিদারুণ কষ্টে আছে। অবিলম্বে সরকারিভাবে পদক্ষেপ নিয়ে জেলেদের ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান তাঁরা।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, “জেলেদের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা বিষয়টি মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানাব। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করব।”
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর