
ইসরায়েলি নৌ-অবরোধ ভেদ করে গাজায় আন্তর্জাতিক সহায়তা পৌঁছে দিতে যাত্রা করা ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র একটি জাহাজ অবশেষে গাজার আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশ করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ‘মিকেনো’ নামের জাহাজটি বর্তমানে গাজার উপকূলীয় জলসীমায় অবস্থান করছে। তবে ইসরায়েলি বাহিনী জাহাজটিকে আটক করেছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
এদিকে, এই অগ্রগতির মধ্যেও ফ্লোটিলার ওপর ইসরায়েলি অভিযানের তীব্রতা বেড়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি কমান্ডোরা বহরের একাধিক নৌযান আটক করার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলস্বরূপ বর্তমানে কার্যকর নৌকার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ টিতে।
এই ২৪টি নৌযানের মধ্যে ‘মিকেনো’ ছাড়া বাকি ২৩টি নৌকা গাজার উপকূলের দিকে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলেছে, যার কয়েকটি জলসীমার একেবারেই কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে।
ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবুকেশেক নিশ্চিত করেছেন যে, ইসরায়েলি বাহিনী মাঝ সমুদ্রে ১৩টি নৌযান থামিয়ে দিয়েছে। আটক হওয়া নৌকাগুলো থেকে ৩৭টি দেশের ২০১ জনেরও বেশি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই আটককৃতদের মধ্যে সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন।
বহরে থাকা আল-জাজিরার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি নৌবাহিনী তাদের যুদ্ধজাহাজ থেকে ফ্লোটিলার জাহাজগুলোতে জলকামান ব্যবহার করে পানি ছুড়েছে, জাহাজগুলোর যোগাযোগব্যবস্থা অচল করে দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক জলসীমা দিয়ে গাজামুখী কর্মীদের আটক করেছে।
আবুকেশেক জানান, ইসরায়েলের এই তীব্র বাধা সত্ত্বেও ‘মিশন চলছে’ এবং অংশগ্রহণকারীরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন গাজার অবরোধ ভেঙে উপকূলে পৌঁছানোর। প্রায় ৩০টির মতো জাহাজ এই বাধা এড়িয়ে গাজার উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে বলে তিনি জানান।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর