
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে যুবলীগ নেতার হামলায় কালাম খান (৪৮) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। নিহত কালাম খানের বড় ভাই লুৎফর খান গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (৪ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ছোট জামুয়া এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মতলুবর রহমান নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত কালাম খান মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়াখালী ইউনিয়নের ডেপুয়ার পাড় গ্রামের ওয়াজেদ আলী খান ওরফে কালু খানের ছেলে।
নিহতের ছেলে মিঠু খান জানান, ঘটনার সময় ছোট জামুয়া গ্রামের একটি চায়ের দোকানের সামনে তার বাবা কালাম খান ও বড় চাচা লুৎফর খান চা খাচ্ছিলেন। এ সময় সোহেল খানের নেতৃত্বে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কালাম খানকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় লুৎফর খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
চিংড়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও নিহতের প্রতিবেশী মামুন খান জানান, সোহেল খান ও কালাম খানের পরিবার একই বংশের এবং আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে শনিবার রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সোহেল খান ও তার সহযোগীরা হামলা চালায়। এতে কালাম খান নিহত এবং তার বড় ভাই লুৎফর খান গুরুতর আহত হন। সোহেল খান চিংড়াখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মতলুবর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর