
নরসিংদী পৌর শহরের আরশীনগরে পরিবহণ থেকে চাঁদা আদায়ের সময় দুইজনকে আটকের পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (উপপরিদর্শক) সোহেল আহমেদ বাদী হয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নরসিংদী সদর থানার পূর্ব ব্রাহ্মন্দী মহল্লার মাহমুদুর রশিদের ছেলে ফজলুল রশিদ ওরফে আদর (৪০), শিবপুর থানার দত্তের গাঁও ভিটিপাড়া এলাকার শামসুল হক খন্দকারের ছেলে শফিকুল ইসলাম সুমন (৪৪), সদর থানার হাজীপুর এলাকার বিরাজ খাঁর ছেলে কুদরত হাসান রবিন (২৩), মো. রকিব খাঁ (৩০), সদর থানার ব্রাহ্মন্দী মহল্লার মো. হুমায়ুন কবিরের ছেলে মো. সোহাগ মিয়া (৩৫), বৌয়াকুড় মহল্লার মো. শওকত মিয়ার ছেলে মো. তানভীর মিয়া (২২) ও নরসিংদী সদর থানার ফুলপুর এলাকার শামসুল আলমের ছেলে শান্ত মিয়া (২৩)।
পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম জানান, মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর শনিবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে শহরের আরশীনগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন পরিবহণ থেকে চাঁদা আদায়ের সময় দুইজনকে হাতেনাতে আটক করেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন শামীম। এ সময় তার ওপর হামলা করে আটক দুইজনকে ছিনিয়ে নেয় চাঁদা আদায়কারীদের ৪০-৫০ জন সহযোগী।
এ সময় তাদের হামলায় আহত হন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন শামীম। এরপর স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর