
টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ে শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচারণার অংশ হিসেবে সাংবাদিকদের নিয়ে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহিদ এ.কে. শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আলী।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, "৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকাদান অভিযানের সাফল্য নিশ্চিতে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ও ভুল তথ্য প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরি করতে হবে এবং জোরালো প্রচারণা চালাতে হবে।" তিনি আরও বলেন, "টাইফয়েড একটি প্রতিরোধযোগ্য সংক্রামক রোগ। টিকা নিতে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। নির্ধারিত দিনে অভিভাবকদের উচিত তাদের সন্তানদের টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে আসা।"
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. নূরুল আমীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গণপতি রায়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. ফারুক হোসেন, ইউনিসেফের কনসালটেন্ট ড. রেজাউর রহমান এবং ইউনিসেফের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় চিফ এ.এইচ. তৌফিক আহমেদ।
সিরাজগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তায় "শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম" প্রকল্পের আওতায় এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় জেলার প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, আগামী ১২ অক্টোবর ২০২৫ থেকে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় সিরাজগঞ্জ জেলায় স্কুল ও কমিউনিটি পর্যায়ে ১৫টি স্থায়ী, ২ হাজার ১১২টি অস্থায়ী এবং স্কুল পর্যায়ে ৩ হাজার ৪২৯টি কেন্দ্রসহ মোট ৫ হাজার ৫৫৬টি টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮৩ জন শিশুকে টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হবে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর