
মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতেসহ দেশের সকল নদীতে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রয়েছে। তাই ভোলার জেলার জেলেদের নিকট হতে প্রাপ্ত ঋণের কিস্তি ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সাময়িক স্থগিত করণের নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। গত ২ অক্টোবর ভোলা জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
গত ২ অক্টোবর ভোলা জেলা প্রশাসন একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেন।
জানা গেছে, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম চলমান থাকার কারণে ভোলা জেলার ১শ’ ৯০ কিলোমিটার মেঘান ও তেঁতুলিয়া নদীতে সকল প্রকার মাছ শিকার, পরিবহন, সংরক্ষণ ও বিপনন বন্ধ রয়েছে, যা চলবে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এ নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকায় নদীতে মাছ শিকার করতে পারছেন না জেলেরা। তাই তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। ভোলা জেলায় ১ লাখ ৬৮ হাজার জেলে নিবন্ধিত। তবে নিবন্ধনকৃত জেলেসহ অন্তত ভোলা জেলায় প্রায় ২ লাখ জেলে রয়েছে। যেহেতু ওই সকল জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করতে পারছেন না, তাই তারা আর্থিকভাবে সংকটে রয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই কোন না কোন ব্যাংক কিংবা এনজিও থেকে ঋণগ্রস্ত। মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন ভোলা জেলার সকল জেলেদের কাছ থেকে ব্যাংক বা এনজিও যেন কোন কিস্তি আদায় না করেন সে মর্মে জেলা প্রশাসন ভোলা থেকে একটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য-২ শাখা, ঢাকা এর ২৩-০৯-২৫ ইং তারিখের সভার কার্যবিবরণী সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসূমে মা ইলিশ রক্ষার বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের অন্যান্য জেলার মত ভোলা জেলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১শ’ ৯০ কিলোমিটার এলাকায় সকল প্রকার মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তাই ভোলা জেলার ব্যাংক/এনজিও হতে যে সমস্ত জেলেরা ঋণ নিয়েছেন ওই সব জেলেদের নিকট হতে প্রাপ্ত ঋণের কিস্তি আদায় সাময়িক স্থগিত রাখার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে তা ভোলার সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যাংক/এনজিওকে এ বিষয়ে অবহিত করার ব্যাপারে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো: আজাদ জাহান জানান, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসূম চলমান থাকায় জেলেরা মাছ শিকার করতে নদীতে যেতে পারছেন না। তাই তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে রয়েছেন। তাদের এই সমস্যার কথা চিন্তা করে ভোলা জেলার সকল ব্যাংক/এনজিওগুলোকে জেলেদের কাছ থেকে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন তাদের চলমান ঋণের কিস্তি না নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর