
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ভাদরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুমল কুমার সরকারের বিরুদ্ধে টাইফয়েড টিকার রেজিস্ট্রেশনের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল সকালে স্বাস্থ্য সহকারী টাইফয়েড টিকা দিতে গেলে প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে টাকা উত্তোলন করেন। স্কুল সূত্রে জানা যায়, ৩১১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২২৫ জন টিকা দিয়েছে। অভিভাবক ও স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রত্যেকের নিকট থেকে ২০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীরা এই অর্থ প্রদান করেছে। অথচ সরকারিভাবে এই টিকা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে টাকা ও টিকা কোনোটাই নেয়নি। আবু সায়েম ও মোর্শেদ বলেন, সরকার যেখানে বিনামূল্যে টিকা দিচ্ছে, সেখানে রেজিস্ট্রেশনের নামে টাকা নেওয়া অনৈতিক। স্কুলে কম্পিউটার শিক্ষক রয়েছে, তিনিই রেজিস্ট্রেশন করবেন। অবৈধভাবে টাকা নেওয়ায় আমরা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত চাই। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বিনামূল্যে দেওয়া টিকা কার্যক্রমে অনিয়ম রোধে প্রশাসনের নজরদারি আরও জোরদার করা প্রয়োজন। নবম শ্রেণির মরিয়ম আক্তার ও তিশা আক্তার বলেন, আমরা জানি টিকা দিতে টাকা লাগে না। স্যার বলেছেন রেজিস্ট্রেশনের জন্য লাগবে।
এ বিষয়ে ভাদরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুমল কুমার সরকার বলেন, রেজিস্ট্রেশনের জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে। কম্পিউটার শিক্ষক আছেন, কিন্তু নেট সমস্যা হওয়ার কারণে বাইরে থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। এজন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যসহকারী দেলোয়ারা খাতুন বলেন, সরকারি টিকা কর্মসূচিতে কোনো রকম অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা ফ্রি টিকা দিয়েছি। শিক্ষকরা কী করেছেন, আমরা তা জানি না। এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রমাণ পেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর