
গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে শুরু করেছে ইসরায়েল। সোমবার থেকে ধাপে ধাপে এই বন্দিমুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয় বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির কারাগার কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্তদের বেশিরভাগই প্রশাসনিক আটকাদেশে থাকা ফিলিস্তিনি, যাদের অনেকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ বা বিচার চলছিল না। প্রথম দফায় পশ্চিম তীরের বিভিন্ন কারাগার থেকে কয়েকশ বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এই বন্দিমুক্তি কার্যক্রমটি মিসরের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হওয়া গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ। চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েল পর্যায়ক্রমে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেবে এবং এর বিনিময়ে হামাস আটক ইসরায়েলি বেসামরিক ও সেনা সদস্যদের ফেরত পাঠাবে।
একইসঙ্গে, যুদ্ধবিরতির আওতায় গাজায় মানবিক সহায়তা ও পুনর্গঠন কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় খাদ্য, ওষুধ ও জরুরি সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্দিমুক্তির প্রতিটি ধাপই সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে যাতে নিরাপত্তাজনিত কোনো জটিলতা না ঘটে। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এটি দীর্ঘদিনের দমন–নীতির অবসানের একটি সূচনা হতে পারে।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, বন্দিমুক্তি ও যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও স্থায়ী শান্তির সম্ভাবনা এখনো অনিশ্চিত। দুই পক্ষের মধ্যে অবিশ্বাস ও রাজনৈতিক বিভাজন এই প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলতে পারে।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর