
নবীগঞ্জের বিজনা নদী দখল ও ইজারাকে কেন্দ্র করে সাত গ্রামের উত্তেজনা নিরসনে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমীন এবং নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামানের হস্তক্ষেপে সোমবার বিকেলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সফল পরিসমাপ্তির ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং তারা ইউএনও ও ওসিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ফেসবুক পোস্ট ও ভিডিও আপলোড করেন নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম এ আহমদ আজাদ। প্রশাসন দ্রুত বিষয়টি নজরে আনে এবং চেয়ারম্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ খালেদুর রহমানের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে উভয় পক্ষকে ইউএনও কার্যালয়ে বসার ব্যবস্থা করে।
সোমবার বিকেলে পানিউমদা ইউনিয়নের বিজনা নদীকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে আয়োজিত এই সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় যে, দখলদারদের দখল অবমুক্ত করা হবে এবং ইজারা বাতিল করা হবে। দখলদারদের মঙ্গলবার সকালে নদী থেকে বাঁশ ও গাছের কাটা সরিয়ে পানি চলাচল সচল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বর্তমান মেম্বার ও দখলদার বাজিত উল্লাহ বলেন, ইউএনও মহোদয় আমাকে আগামীকাল দখলমুক্ত করে দেওয়ার কথা বলেছেন এবং আমি সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। পানিউমদা গ্রামের সাবেক মেম্বার মনসুর আলম ও এনসিপি নেতা শেখ রুবেল আহমদ বলেন, ইউএনও মহোদয় বিষয়টি শেষ করে দেওয়ায় আমরা অত্যন্ত খুশি। অন্যথায় এলাকায় বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা ছিল। পানিউমদা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী তালুকদার বলেন, উভয় পক্ষের সমঝোতার কারণে এলাকাবাসী বড় ধরনের সংঘাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন তার মিডিয়া সেলের মাধ্যমে শোকরিয়া প্রকাশ করে মোবাইলে জানান, তিনি প্রথমে ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি আরও বলেন, জনসচেতনতামূলক পোস্ট সমাজের অনেক উপকারে আসে এবং তারা ঘটনাটি জেনে ব্যবস্থা নিয়েছেন।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর