
চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) আগুন কবলিত পোশাক কারখানা থেকে এ পর্যন্ত ২০-২৫ জন শ্রমিককে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। সেখানে আর কোনো শ্রমিক-কর্মচারী আটকে আছেন কিনা, সেটা খুঁজে দেখা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সিইপিজেডের ১ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর সড়কের ‘অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড’ নামের ওই কারখানায় সৃষ্ট আগুন প্রায় তিন ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্টেশন থেকে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের উপপরিচালক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ভবনটির ৬ ও ৭ তলায় আটকে পড়া ২৫ জনকে উদ্ধার করেছি। তারা ধোঁয়ায় আটকা পড়েছিল। আমরা তাদের নিরাপদে সরিয়ে এনেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আটতলায় যারা ছিল তারা জানিয়েছে সেখানে আর কেউ নেই। সবাই নিরাপদে নেমে এসেছে।’
আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগুনের যে অবস্থা, ভেতরে ঢোকা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে গেছে। তারপরও পাঁচতলা পর্যন্ত আমরা গিয়েছি। ওইখানে আমাদের টিম কাজ করছে। এখন আমরা যেটা চাচ্ছি, আগে আমরা ছয়তলা, সাততলা এটার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনবো। এটার চর্তুদিকে ইলেকট্রিকের লাইন আছে, ভেতরে যাবার কোনো স্পেস নেই।’
জানা যায়, চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) অবস্থিত ওই কারখানাটিতে হাসপাতালে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও তোয়ালে তৈরি করা হতো। প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং তীব্রতাও অনেক বেশি।
চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুপুর ২টা ১০ মিনিটের দিকে সিইপিজেডের ওই কারখানায় আগুন লাগার সংবাদ পৌঁছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে। সাততলা ভবনটির ছয়তলায় আগুন লাগার পর দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সিইপিজেড, বন্দর, কেইপিজেড, আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশন থেকে মোট ১৬টি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করছেন।
আগুন কবলিত ভবনটির চারপাশ ঘিরে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। অহেতুক লোকজন যাতে ভিড় করতে না পারে, সেই চেষ্টা করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর