
গত বছরের ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দলের অধিকাংশ নেতা-কর্মী আত্মগোপনে রয়েছেন বা দেশ ছেড়েছেন। একই পরিণতি হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার ক্ষেত্রেও। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে দেশে থাকলেও তিনি রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া মনে করেন, মাশরাফি তার রাজনৈতিক অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমার জানামতে উনি (মাশরাফি) তার রাজনৈতিক অবস্থান থেকেও সরে এসেছেন। ফেসবুকে উনি স্পষ্ট করেছেন বলেই আমার মনে পড়ে।”
তবে মাশরাফি বিষয়টি ফেসবুকে নয়, গত বছরের আগস্টে এক সাক্ষাৎকারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজনীতি থেকে সরে আসার। তখন তিনি বলেছিলেন, “যখন রাজনীতিতে ছিলাম, ক্রিকেট বোর্ডে থাকার চেষ্টা করিনি। এখন রাজনীতিতে নেই, এখন যদি বোর্ডে থাকার চেষ্টা করি বা থাকতে চাই, তাহলে কেমন হয়ে যায় না!”
গত এক বছরে মাশরাফির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া ১৪টি পোস্টের কোনোটিই আওয়ামী লীগ বা রাজনীতি সম্পর্কিত নয়। বিপরীতে সাকিব আল হাসান আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন জানিয়ে একাধিক পোস্ট করেছেন।
সাক্ষাৎকারে আসিফ মাহমুদ বলেন, “মাশরাফির বিষয়ে আমার জানা মতে তেমন কোনো অনিয়ম বা অপরাধমূলক কার্যক্রম নেই। তবে যদি রাষ্ট্রীয় আইনে কিছু করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, মাশরাফি এখন খেলা ও ক্রীড়াবিষয়ক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে আছেন, তাই বর্তমানে তিনি আলোচনায়ও নেই।
সূত্র: সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার বক্তব্য।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর