
রাজধানীর মৌচাকের ফরচুন শপিংমলে সংঘটিত স্বর্ণের দোকানে চুরির ঘটনার আগে তিন মাস ধরে পর্যবেক্ষণ (রেকি) চালানো হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা বলছে, চুরির দিন মলের শৌচাগারের জানালায় আঁটানো সুতা ব্যবহার করে ভেতরে প্রবেশ করে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এসব তথ্য জানায়। মামলায় গত ৭২ ঘণ্টার অভিযানে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শাহিন মাতব্বর ওরফে শাহিন (৪৬), নুরুল ইসলাম (৩৩), উত্তম চন্দ্র সূর (৪৯) ও অনিতা রায় (৩১)। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১৯০ ভরি স্বর্ণ, সামান্য রূপা, একটি মোটরসাইকেল ও ১ লাখ ৭৭ হাজার ২০০ টাকা।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি সংগঠিত ও পেশাদার; তারা আগে থেকেই মলের ভিতরে বোরকা ও চুরির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম লুকিয়ে রেখেছিল। তাদের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের চট্টগ্রামের কর্ণফুলী মার্কেটে সংঘটিত স্বর্ণ চুরির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে; জামিনে বেরিয়ে তারা একই ধরনের অপরাধে জড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ৮ অক্টোবর রাতে চুরির ঘটনা ঘটেছিলো। মলের সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তির ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। গোয়েন্দা সূত্রে ভিত্তিতে প্রথমে চট্টগ্রাম ও পরে বরিশালে অবিযান চালিয়ে অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার করা হয়। এই চুরির প্রধান সমন্বয়কারী নুরুলকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়। চুরিকৃত স্বর্ণ ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
দোকান মালিক ঘটনা পর ৫০০ ভরি স্বর্ণের দাবী করেছিলেন; এখনও বাকি স্বর্ণ কোথায়- তা জানতে ডিবি তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে। একজন আসামি পলাতক রয়েছেন; তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে বাকি স্বর্ণের হদিস পাওয়া যেতে পারে।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, এখন পর্যন্ত চুরি যাওয়া স্বর্ণ বিক্রির পর্যায়ে যায়নি; কিছু অংশ গলানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। চক্রের সদস্যরা নিজেদের পরিচয় দিতেন কৃষিকাজ বা গরুর খামারের কর্মী হিসেবে। কিন্তু গোপনে বড় ধরনের চুরির পরিকল্পনা করতেন।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
অপরাধ এর সর্বশেষ খবর