
খুলনার পাইকগাছার শিবসা নদীর চরে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে আবারও একজনের লাশ পাওয়া গেছে। ইকরাম হোসেন (৪৭) খুলনার বানরগাতির মৃত মো. দেলোয়ার হোসেনের মেজো ছেলে। তিনি সোনাডাঙ্গা থানার মহসিনউদ্দীন সড়কে বসবাস করতেন।
স্থানীয় ও এলাকাবাসী সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে পাইকগাছার নৌ-পুলিশ উপজেলার সোলাদানা বাজারের সন্নিকটে শিবসা নদীর চর থেকে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে। গত দু’দিনে পরপর দু’টি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় ভীতির সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তির পরনে ছিল থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট ও গায়ে গেঞ্জি। সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পুলিশ সূত্রে খবর পেয়ে দুপুরে নিহত ব্যক্তির ভাইসহ স্বজনরা পাইকগাছা নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে পৌঁছে লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই রুবেল হোসেন জানান, ১৪ অক্টোবর সকালে একটি মামলায় হাজিরা দিতে ভাই কোর্টে পৌঁছে তাঁর কাছে ৫০০ টাকা চাইলে বিকাশে টাকা পাঠিয়ে দেন। এরপর বেলা দেড়টার দিকে মোবাইলে কথা হলে ভাই জানান, তিনি পাইকগাছায় ঘেরের দিকে যাচ্ছেন, কাজ আছে। সর্বশেষ সন্ধ্যায় ভাই বলেন, "আমি ঘেরে আছি, কোনো সমস্যা নেই। সকালে বাসায় ফিরব।" এরপর থেকে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। স্বজনরা পুলিশকে জানান, ১৬ অক্টোবর সকালে দেলুটির জিরবুনিয়া স্লুইস গেটের মুখে নদীর চর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধারকৃত সোনাডাঙ্গার রানা খলিফা ও ইকরাম হোসেনসহ খুলনার আরও ৪-৫ জন একসঙ্গে ছিলেন। তাদের অনেকেই এখন ফোন ধরছেন না। গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে, পুলিশ তদন্তের স্বার্থে এসব নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেনি। এ বিষয়ে নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সবুর হোসেন জানান, লাশের পরিচয় শনাক্তের পর সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রিয়াদ মাহমুদ জানান, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর একটি মামলা হয়েছে। রানা খলিফা ও ইকরাম হোসেন হত্যাকাণ্ডের শিকার কিনা জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর