ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ রাজনীতিক ও শ্রমিকনেতা কমরেড আহসান উল্লাহ চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন এবং নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) জোহরের নামাজের পর মিরসরাই উপজেলার জনার্দনপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে মরহুমের মরদেহে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল উদ্দিন কাদের এ সময় উপস্থিত থেকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা জানান। এতে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের একটি চৌকস দল অংশ নেয়।

এর আগে সকালে চট্টগ্রাম শহরের মিমি সুপার মার্কেটের পাশে আফমী প্লাজার পেছনে আবাসিক এলাকায় প্রথম জানাজা এবং দুপুরে গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। দাফন অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।

কমরেড আহসান উল্লাহ চৌধুরী আজীবন শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার ছেলে সাবেক ছাত্রনেতা ও বর্তমানে ফ্রান্সপ্রবাসী এ এস এম রহমত উল্লাহ, বড় মেয়ে উন্নয়ন সংস্থা ইপসার ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাডভাইজার ড. শামসুন্নাহার চৌধুরী লোপা এবং ছোট মেয়ে লুৎফুন নাহার চৌধুরী গৃহিণী।

সাজু/নিএ