
নবীগঞ্জের ইমামবাড়ী বাজারে রাতের আধারে দু'টি গ্রামের মধ্যে ২ ঘন্টাব্যাপী ভয়াবহ সংঘর্ষ আহত অর্ধশতাধিক৷ স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইমামবাড়ী বাজারে ওজনে মিষ্টি কম দেয়াকে কেন্দ্র করে ২ ঘন্টাব্যাপী ভয়াবহ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত: অর্ধ শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন৷ খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ও বানিয়াচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন৷ জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ইমামবাড়ী বাজারস্থ ভাই ভাই রেষ্টুরেন্ট এন্ড সুইটমিট থেকে গত ৩ দিনপূর্বে মিস্টি ক্রয় করেন কালিয়ার ভাঙ্গা ইউনিয়নের শাইস্তা নগর গ্রামের দুবাই প্রবাসী বদরুল মিয়া নামের জনৈক ব্যক্তি৷ তখন মিস্টি বিক্রেতা আমির উদ্দীন মিস্টির কার্টুন ( মোড়কে) ২৫০ গ্রাম ওজন ধরিয়ে প্রতি কেজিতে ২৫০ গ্রাম মিস্টি ওজনে কম দেন বলে ক্রেতা অভিযোগ করেন ৷ এর কারণ জানতে চাইলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হলে স্থানীয়রা পরিস্থিতি শান্ত করে দেন৷ পরদিন বদরুল মিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এনিয়ে পোস্ট করলে এ বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করে৷ এঘটনার জেরধরে ১৮ অক্টোবর শনিবার বিকাল অনুমান সাড়ে ৫টায় দুবাই প্রবাসী বদরুল মিয়াকে একা পেয়ে ভাই ভাই রেষ্টুরেন্ট এন্ড সুইটমিট এর মালিক বানিয়াচং থানার খাগাউড়া ইউনিয়নের চন্দলপুর গ্রামের আমির উদ্দীন তিনি সহ কয়েকজন যুবক মিলে বদরুলকে ধরে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন৷ এখবর পেয়ে সন্ধ্যা অনুমান ৬টায় বদরুল মিয়ার আত্মীয় স্বজন সহ কালিয়ার ভাঙ্গা গ্রামবাসী ও আশপাশের কয়েকটি গ্রামের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে এগিয়ে আসলে অপর দিক থেকে ইমামবাড়ী মধ্য বাজারস্থ এসে হামলা চালান চন্দলপুর, শ্রীমতপুর, তাজপুর, খাগাউড়া, হরিপুর লহরজপুর সহ কয়েকটি গ্রামের লোকজন৷ এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে এলাকা রনক্ষেত্রে পরিণত হয় এবং এলাকা ভিত্তিক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে,এতে উভয় পক্ষে কয়েকটি গ্রামের লোকজনের মধ্যে ব্যাপক আকার ধারণ করে সংঘর্ষটি৷ প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন লোকজন আহত হয়েছেন বলে জানাগেছে৷ আহতদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ এ ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ও বানিয়াচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে৷
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর