
মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক ও বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামির বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল। তার মধ্যে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বুধবার (২২ অক্টোবর) ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনায় হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের সকালে কড়া নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় এবং পরে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে নেওয়া হয়।
এদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, দিনের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল মোট ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই কর্মকর্তাদের কোন কারাগারে রাখা হবে, তা সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে।
কারাগারে পাঠানো ১৫ সেনা কর্মকর্তার নামের মধ্যে রয়েছেন—
র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম
ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ
কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন
কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন ছুটিতে)
র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান
লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন
লে. কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম
লে. কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম
বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম
ডিজি এফ আইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী
যেসব আসামি হাজির হননি, তাদের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে। এই তিনটি মামলার মধ্যে দুটি মামলায় শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের হাজিরের জন্যও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
গুমের দুই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ২০ নভেম্বর, আর গত বছরের ১৮ ও ১৯ জুলাই রামপুরায় গণহত্যা সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৫ নভেম্বর।
চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, গ্রেফতার দেখানো ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কোন কারাগারে রাখা হবে তা কারা কর্তৃপক্ষ ঠিক করবে।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর
আইন ও আদালত এর সর্বশেষ খবর