
ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি ঘিরে উত্তেজনার মধ্যেই ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো দাবি করেছেন, তার দেশের হাতে রাশিয়া নির্মিত অন্তত পাঁচ হাজার বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) ভেনেজুয়েলা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে মাদুরো বলেন, “বিশ্ব জানে ‘ইগলা-এস’ কতটা শক্তিশালী অস্ত্র, আর ভেনেজুয়েলার হাতে এমন ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা পাঁচ হাজারের কম নয়।”
রুশ তৈরি ‘ইগলা-এস’ ক্ষেপণাস্ত্রকে আমেরিকান ‘স্টিংগার’-এর সমমানের স্বল্প-পাল্লার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি ক্রুজ মিসাইল, ড্রোন, হেলিকপ্টারসহ নিচু উচ্চতায় উড়ন্ত বিমান ভূপাতিত করতে সক্ষম। মাদুরো বলেন, “এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো দেশের শেষ পর্বত, শেষ শহর ও শেষ গ্রাম পর্যন্ত মোতায়েন করা হয়েছে। একজন সৈন্যই সহজে বহন ও পরিচালনা করতে পারে এসব অস্ত্র।”
মাদুরোর এই ঘোষণা আসে এমন সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে ৪ হাজার ৫০০ মেরিন ও নৌসদস্য মোতায়েন করেছে। ওয়াশিংটনের দাবি, এটি মাদকবিরোধী অভিযান ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা জোরদারের অংশ। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় উপকূলে বেশ কয়েকটি নৌযানে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে, যেগুলোকে তারা মাদক পাচারকারীদের নৌকা বলে দাবি করে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট—উভয় দলের সদস্যরা এই ‘নারকো বোট’ হামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পরিস্থিতি আরও জটিল হয় গত সপ্তাহে, যখন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি ভেনেজুয়েলায় গোপন সামরিক অভিযানের জন্য সিআইএকে অনুমোদন দিয়েছিলেন।
মার্কিন কর্মকর্তারাও ইঙ্গিত দিয়েছেন, মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের বিষয়টি এখন ওয়াশিংটনের বিবেচনায় রয়েছে।
সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর