গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের ধুমাইটারী গ্রামে এক মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত এক সদস্যকে আটক করেছেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ওই গৃহবধূর সঙ্গে তাঁর বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ধুমাইটারী গ্রামের এক মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রীর বাড়িতে প্রবেশ করেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্য ইমরুল কায়েস। এসময় স্থানীয়দের নজরে এলে তাঁকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করা হয় বলে জানা গেছে।
পরে খবর পেয়ে স্থানীয় ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। দীর্ঘ আলোচনা ও উভয় পক্ষের সম্মতিতে শুক্রবার সামাজিকভাবে গৃহবধূর সঙ্গে পুলিশ সদস্য ইমরুল কায়েসের বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।
ইমরুল কায়েসের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের বালাহাটা গ্রামে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ ঘটনাটিকে ‘সামাজিক সমাধান’ হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকে পুলিশের নৈতিক আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
এ বিষয়ে প্রবাসীর স্ত্রী জানান, ওই পুলিশ সদস্যের সাথে তার মুঠোফোনে কথাবার্তা চলতো, আজ দেখা করতে আসলে গ্রামবাসী টের পায়। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘরের বাহিরে হৈচৈ শুনতে পেরে ‘আলমারীর ভেতর লুকিয়ে পরেন পুলিশ সদস্য। এদিকে ওই পুলিশ সদস্য বলেন, অনলাইনে গত ২/৩ মাস ধরে কথা চলছিল, আজ দেখা করতে বাসায় আসার পর এমন পরিস্থিতি ঘটেছে।
লিয়াকত আলী নামের এক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, স্থানীয়রা বদ্ধ ঘর থেকে দুজনকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে সকলের সম্মতিতে বিয়ে হয়।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম আজাদ ঘটনার বিষয় স্বীকার করলেও এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানান।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর