গাজায় ত্রাণ ও প্রশাসনিক ভূমিকায় UNRWA (জাতিসংঘের প্যালেস্টাইনীয় শরণার্থী সংস্থা) কোনো অংশ নেবে না — এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, এবং একই সঙ্গে তিনি বলেছেন যে ভবিষ্যতে গাজার শাসনে হামাসকে কোনভাবেই জড়ানো হবে না। এই মন্তব্যে রুবিও বলাৎ বলেন যে UNRWA “হামাসের একটি সহায়ক সংস্থা” হয়ে উঠেছে — একটি দাবি যা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (ICJ) ইতোমধ্যেই খারিজ করেছে।
জাতিসংঘ এবং UNRWA উভয়ই রুবিওর ওই ব্যাখ্যার তীব্রভাবে প্রতিবাদ করেছে। সংস্থাগুলি বলছে, গাজায় মানবিক কাজ চালাতে UNRWA-র বৃহৎ জাল ও অভিজ্ঞতার বিকল্প নেই এবং ICJ-ও এই বাস্তবতা স্বীকার করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের উপ-প্রবক্তা ফারহান হকও জানান যে UNRWA হামাসের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এবং এটি গাজার ত্রাণ কার্যক্রমের মেরুদণ্ড।
তবে মধ্যস্থতায় পাওয়া সাময়িক যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েল গাজার উপর ক্পট অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে এবং রাফাহ সীমান্ত এখনও বন্ধ রাখায় বড় পরিসরে ত্রাণ প্রবেশ করা বন্ধ রয়েছে — যা ত্রুটিপূর্ণ ত্রাণ পরিষেবারি পরিস্থিতি আরও বাড়াচ্ছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে যে ত্রস্ত গাজার মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন অন্তত ৬০০ টি ট্রাক প্রয়োজন, কিন্তু সেই স্তর এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি। WHO-ও জানিয়েছে যে ত্রাণে কোনো সুস্পষ্ট উন্নতি লক্ষ্য করা যায়নি।
রুবিও একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের কথা বলেছেন, যা গাজায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করবে — তবে তিনি যোগ করেছেন যে বাহিনীতে থাকা দেশগুলোতে ইসরায়েলকে “স্বাচ্ছন্দ্যবোধ” জরুরি এবং ইসরায়েল কোনো দেশকে প্রতিযোগিতামূলকভাবে ভেটো করতে পারবে। তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ কয়েকটি দেশ গাজায় ভূমিকা নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে, তবে অংশগ্রহণ ও মডালিটি নিয়ে আলোচনা চলমান।
গাজার মানুষের দৈনন্দিন জীবন ধ্বংসাত্মক — বহু বাড়ি ভেঙে গেছে, বহু লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত, এবং উদ্ধার-সহায়তা কার্যক্রম কঠোরভাবে সীমিত। গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে যে রাস্তায় ধ্বংসাবশেষ ও খাদ্য, পানি-অভাবের মধ্যে উদ্ধারকর্মীরা খুব কম রিসোর্স নিয়ে কাজ করছেন এবং জনগণ ‘জীবিকার দৈনন্দিন সংগ্রাম’ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সূত্র: আল জাজিরা ও নিউজ এজেন্সি.
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর