টানা আট দিন কর্মবিরতির পর শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্ষতি পুষিয়ে দিতে শ্রেণিকার্যক্রম পরিচালনা করেছেন সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। শনিবার (২৫ অক্টোবর) ছুটির দিন হলেও সকাল থেকেই স্কুল-মাদ্রাসায় চলছে নিয়মিত পাঠদান। বার্ষিক পরীক্ষা ও শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষকরা স্বেচ্ছায় এই অতিরিক্ত ক্লাসের উদ্যোগ নিয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের আহ্বানে আজ দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূর্ণমাত্রায় ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ বিষয়ে জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ৩ দাবিতে শহীদ মিনারের আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের কিছুটা শিক্ষাক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতি পূরণের লক্ষ্যেই আজ শনিবারও আমরা ক্লাস নিচ্ছি। জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন পিছিয়ে না পড়ে, সেই দায়িত্ব শিক্ষক সমাজ নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার বিকেলে শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা। তারা জানান, বার্ষিক পরীক্ষার আগে প্রতি শনিবার অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে শিখন ঘাটতি পূরণ করে নেবেন শিক্ষকরা।
গত ১২ অক্টোবর থেকে বাড়িভাড়া ভাতা ২০ শতাংশ, কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ এবং চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত করার দাবিতে টানা আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। পরে মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রজ্ঞাপন জারির পর আন্দোলন স্থগিত করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা দুই ধাপে ১৫ শতাংশে উন্নীত করা হবে। প্রথম ধাপে ২০২৫ সালের ১ নভেম্বর থেকে মূল বেতনের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) এবং দ্বিতীয় ধাপে ২০২৬ সালের ১ জুলাই থেকে মোট ১৫ শতাংশ হারে কার্যকর হবে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর