দক্ষিণপূর্ব ইউরোপের আলবেনিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় চাইছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচয় দেওয়া সোহেল রানা। আর্থিক প্রতারণার বিভিন্ন মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ঢাকার ওই প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক গত ৯ মাস ধরে আলবেনিয়ার জেলে বন্দি রয়েছেন। এখন সে দেশেই রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।
বাংলাদেশের অনলাইন কেনাকাটির (ই-কমার্স) প্রতিষ্ঠান ‘ই-অরেঞ্জ’-এর অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন সোহেল। ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১,১০০ কোটি টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায়) প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। সোহেলের বিরুদ্ধেও ঢাকায় আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে ৯টি মামলা রয়েছে। বস্তুত, হাসিনার আমলেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ওই মামলার পর পরই ২০২১ সালে বাংলাদেশ ছাড়েন তিনি। দাবি করা হয়, ভারত হয়ে নেপালে পালানোর সময়ে পশ্চিমবঙ্গে ধরা পড়েছিলেন তিনি। পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে তিনি ভারত থেকে পর্তুগাল হয়ে আলবেনিয়ায় পালিয়ে যান। ২০২২ সাল থেকেই তাঁর খোঁজে ‘রেড কর্নার নোটিস’ জারি করে ইন্টারপোল। শেষে গত ১ ফেব্রুয়ারি আলবেনিয়ায় গ্রেফতার হন তিনি।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্র থম আ লো’ অনুসারে, গত ৯ মাস ধরে ওই ইউরোপীয় দেশেই বন্দি রয়েছেন সোহেল। এখন সে দেশেই রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। আলবেনিয়ার কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি নিজেকে ‘হাসিনা-ঘনিষ্ঠ’ বলে দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, সেই কারণেই তিনি বাংলাদেশ ছেড়েছেন। এখন তাঁকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড হতে পারে, এমন আশঙ্কার কথাও আলবেনিয়ার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের পুলিশ সদর দফতরের মুখপাত্র এএইচএম শাহাদাত হোসাইন ‘প্র থম আ লো’কে বলেন, “সোহেল রানা এখন আলবেনিয়ার কারাগারে আছেন। তাঁকে দেশে ফেরত পাঠাতে আলবেনিয়ার পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) একাধিক চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা আমাদের সে সব চিঠির কোনও জবাব দেয়নি।”
সূত্র - আনন্দবাজার
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর
সংবাদপত্রের পাতা থেকে এর সর্বশেষ খবর