গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানার টিঅ্যান্ডটি বাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজী নিজেই স্বীকার করেছেন যে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে পঞ্চগড়ে গিয়েছিলেন। তাঁর এই অদ্ভুত যাত্রার বর্ণনা এবং আত্মগোপন নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
মুফতি মুহিব্বুল্লাহ জানান,“আমি হাঁটতে গেছি। হাঁটতে যাওয়ার পর মাথায় এলো যে আমি চলি। কোন দিকে যাচ্ছি বলতে পারি না। একপর্যায়ে অটোতে উঠি, মীরের বাজারে নামি। তারপর জয়দেবপুর যাই। সেখান থেকে হঠাৎ মনে হলো বাসে উঠি—শ্যামলী না কোথায় যেন নামলাম। আবার আরেকটা বাসে উঠে গাবতলী গেলাম। তারপর হঠাৎ ভাবলাম, টিকিট কাটি—পঞ্চগড় যাই। রাতে পঞ্চগড়ে নামি, কিন্তু কোথায় যাচ্ছি জানতাম না।”
তাঁর এই হঠাৎ নিখোঁজ হওয়া এবং পরবর্তীতে নিজেই উপস্থিত হওয়ার ঘটনাটি অনেকের কাছে তিন বছর আগের রহিমা বেগম নিখোঁজ নাটকের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
২০২২ সালে খুলনার দৌলতপুরে রহিমা বেগম নিখোঁজ হন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে তদন্তে জানা যায়, তাঁর মেয়ে মরিয়ম মান্নান জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মাকে ইচ্ছাকৃতভাবে আত্মগোপনে পাঠান এবং অপহরণের নাটক সাজান।
রহিমা বেগমের ঘটনাটি তখন সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত ও ট্রলের বিষয় হয়েছিল। অনেকে বলছেন, মুফতি মিয়াজীর এই ঘটনাও এখন ‘নিখোঁজ নাটক পার্ট–টু’ হিসেবে আলোচনায় এসেছে।
সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই মন্তব্য করছেন, “যেখানে রহিমা বেগমের নিখোঁজ নাটক মানুষ ভুলতে পারেনি, সেখানে টঙ্গীর খতিবের এই ঘটনা যেন সেই কাহিনির পুনরাবৃত্তি।”
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর