গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য। মঙ্গলবার রাতে গাজার বিভিন্ন এলাকায় এ হামলা চালানো হয়। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগই আবাসিক এলাকায় বসবাস করছিলেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তাদের এক সৈন্য নিহত হওয়ার পর পাল্টা হামলা হিসেবে তারা এসব অভিযান চালিয়েছে। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল হামাসের অবস্থান বলে দাবি করেছে তেল আবিব। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আঘাতের মূল ধাক্কা লেগেছে সাধারণ মানুষের বাসাবাড়ি, বাজার ও রিফিউজি ক্যাম্পে।
ঘটনাটি ঘটছে এমন এক সময়, যখন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় প্রতিষ্ঠিত যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর রয়েছে। ফলে এ হামলার পর চুক্তির স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যুদ্ধবিরতির পরও এই ধরণের হামলা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি এখনো “ঝুঁকির মুখে নয়।” তিনি বলেন, “ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে, তবে কেউ যেন এই চুক্তিকে বিপদে না ফেলে।”
এদিকে হামাস এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সংগঠনটির ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। হামলার পর গাজার অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। হাসপাতালগুলোতে আহতদের ভিড়ে চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক সংস্থাগুলো জানিয়েছে, চলমান সংঘাতের কারণে গাজায় ত্রাণ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। চিকিৎসা সরঞ্জাম ও খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে, যা মানবিক বিপর্যয়কে আরও গভীর করে তুলছে।
সূত্র: Al Jazeera, Reuters.
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর