গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলার নতুন ঢেউয়ে যুদ্ধবিরতির আশা ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) আল জাজিরার লাইভ আপডেট অনুযায়ী, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় অন্তত শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যাই বেশি। স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক এবং কোনো সামরিক কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন না।
মধ্যরাতের পর গাজার বিভিন্ন এলাকায় পরপর বিস্ফোরণ ঘটায় ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী গাজা সিটি, খান ইউনুস ও রাফাহ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু ভবন ধসে পড়েছে, ভেঙে গেছে হাসপাতাল ও আশ্রয়কেন্দ্রের কাচের দেয়াল। হামলায় অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন এবং অনেকেই এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা রয়েছেন বলে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন।
গাজার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগেই ঘোষিত যুদ্ধবিরতির পর তারা সামান্য আশার আলো দেখেছিলেন। কিন্তু নতুন হামলার পর সেই বিশ্বাস ভেঙে পড়েছে। এক বাসিন্দা আল জাজিরাকে বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম যুদ্ধবিরতি আমাদের বাঁচাবে, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এটি শুধু কাগজে লেখা ছিল। আমরা আর কোনো আশা দেখি না।”
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর রয়েছে এবং ইসরায়েলের ওপর হামলা হলে দেশটির আত্মরক্ষার পূর্ণ অধিকার আছে। তবে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার সাধারণ মানুষ ট্রাম্পের এই বক্তব্যে আস্থা পাচ্ছেন না।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, চলমান পরিস্থিতি গাজায় মানবিক বিপর্যয়কে আরও গভীর করছে। খাদ্য, পানি ও চিকিৎসাসামগ্রীর সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, অব্যাহত হামলা ও অবরোধের কারণে লাখো মানুষ এখন জীবন-মৃত্যুর সীমানায় দাঁড়িয়ে আছে।
সূত্র: আল জাজিরা।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর