আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কর্মবিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ। শনিবার (১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহিনুর আল আমীন লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমাজের সভাপতি আনিসুর রহমান।
শিক্ষকরা তিনটি মূল দাবি জানিয়েছেন—
১. প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের প্রবেশ পদে ১১তম গ্রেড প্রদান,
২. উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন,
৩️. শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি নিশ্চিতকরণ।
বক্তারা জানান, দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন, কিন্তু তারা দীর্ঘদিন ধরে অবমূল্যায়ন ও আর্থিক বৈষম্যের শিকার।
বর্তমানে একজন সহকারী শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে যোগ দিয়ে সর্বমোট মাত্র ১৭,৬৫০ টাকা বেতন পান, যা বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাদের দাবি, ১১তম গ্রেডে পদোন্নতি দিলে সর্বমোট বেতন হবে ১৯,৮২৫ টাকা, অর্থাৎ সরকারকে অতিরিক্ত মাত্র ২,২৬৫ টাকা দিতে হবে।
শিক্ষক নেতারা বলেন, “একই শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অন্যান্য দপ্তরে সরকারি চাকরিজীবীরা ১০-১১তম গ্রেডে যোগদান করলেও প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে রয়েছেন, যা অমানবিক ও বৈষম্যমূলক।”
তারা আরও জানান, ২০০৯ সাল থেকে পদোন্নতি কার্যক্রম স্থগিত থাকায় অনেক শিক্ষক জীবনভর সহকারী শিক্ষক হিসেবেই অবসর নিচ্ছেন।
কর্মসূচি:
২৩–২৪ নভেম্বর: অর্ধদিবস কর্মবিরতি
২৫–২৬ নভেম্বর: পূর্ণদিবস কর্মবিরতি
২৭ নভেম্বর: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি
দাবি না মানলে: ১১ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর