নির্বাচনী সংলাপ শুরু করার আগে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ও রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের আচরণবিধির গেজেট প্রকাশের অপেক্ষায় আছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গেজেট প্রকাশ না হলে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অর্থবহ সংলাপ সম্ভব নয়। গেজেট প্রকাশ পেলেই সংলাপ কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
রোববার (২ নভেম্বর) রাজরানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আরপিও সংশোধন নিয়ে সংশোধনের সর্বশেষ অবস্থা আমারও জানা নেই। আমার জানা থাকলে তো আমি জানাবো। আমাকে বলার সুযোগটা দিবেন। উপদেষ্টা পরিষদে এটা নীতিগত অনুমোদনের পরে কাজটুকু করেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় তারা এই অধ্যাদেশটা জারি করেন কাজেই অধ্যাদেশ জারির বিষয়টা যতক্ষণ না পর্যন্ত হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরাও আপনাদের মতো অপেক্ষায় আছি।
আরপিওতে কোন পরিবর্তনের যদি প্রয়োজন হয়, দলের দাবি আপত্তি আছে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে আবেদন জানিয়েছেন কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়টা সরকারের আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে আছে। আইন মন্ত্রণালয় এর উত্তরটা দিতে পারবে। আমাদের কাছে করণীয় কিছু নাই কারণ আমাদের প্রস্তাবনা অনুযায়ী আমরা এটা উপদেষ্টা পরিষদে নেওয়া হয়েছে সেখানে অনুমোদন হয়ে গেছে। এখন এরপরে যদি কোন কিছু কোন কিছু প্রাসঙ্গিক হয় সে বিষয়ের সাথে ইসি কোন সম্পর্ক নেই।
২০ অনুচ্ছেদ পরিবর্তন সংশোধন নিয়ে কথা হচ্ছে এখানে আপনাদের কোন অবস্থান আছে কিনা এবং আপনাদের রিকমেন্ডেশন ছাড়া কি কোন পরিবর্তন হতে পারে কিনা-জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের এখান থেকে নতুন করে কোন কিছু বলার নেই। আমাদেরকেও অপেক্ষা করতে হবে। আইন মন্ত্রণালয় থেকে আমরা চূড়ান্ত অবস্থানটা পাওয়ার পরে এ বিষয়ে কথা বলব।
নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের বিষয়টা নিষ্পত্তির জন্য পর্যালোচনা আমরা এখনো করছি এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে এটা এই সপ্তাহের ভিতরে আমরা দিয়ে দিতে পারব। যেসব দল নিবন্ধন জন্য উত্তীর্ণ হবে তাদের সবার এক সঙ্গে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
প্রবাসী ভোটারের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রবাসী ভোটারদের ব্যাপারে দুটো জিনিস এখানে প্রাসঙ্গিক একটা হচ্ছে যে প্রবাসী ভোটার, প্রবাসী যারা আছেন ভোটার রেজিস্ট্রেশন, আরেকটা হচ্ছে যে ভোট দানের জন্য রেজিস্ট্রেশন মূলত বিষয় হচ্ছে দুটো।
একটা হচ্ছে যে একজনকে ভোটার হতে হবে এবং যিনি ভোটার তিনি অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়ে ভোট দিবেন। অ্যাপের মাধ্যমে যে নিবন্ধনের প্রক্রিয়াটা এই অ্যাপটা এখনো পর্যন্ত লঞ্চ হয়নি। এটা ট্রায়াল পর্যায়ে আছে। ১৬ নভেম্বর এটা লঞ্চ করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, যারা প্রবাসে আছেন যাদের এনআইডি কার্ড আছে এবং যাদের বয়স ১৮ বছর এবং এর উর্ধে তারা প্রবাসী ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করতে পারবেন ভোটা দেওয়ার জন্য। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে নিবন্ধন কোন জায়গা থেকে করতে পারেন? যেকন জায়গা থেকে এটা এক্সেস করতে পারবেন। কারণ একটা অ্যাপ তো আর কোন একটা রেস্ট্রিক্টেড এরিয়ার জন্য করবো না। করা হচ্ছে যে সারা বিশ্বের জন্য। যারা এই অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করবেন তারা ইনশআল্লাহ আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচনী সংলাপের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনে আমাদের তিনটা স্টেকহোল্ডারের সাথে এখনো সংলাপ করতে পারিনি। যাদের ভিতরে একটা মেজর স্টেক হোল্ডার হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলা।
আরপিও ও রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের আচরণ বিধিমালার এই গ্যাজেটটা না পাওয়া গেলে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অর্থবহ আলোচনাটা করা সম্ভব হবে না। সেজন্যই অপেক্ষায় আছি। এটা পেলেই আমরা সংলাপের কাজটা শুরু করে দিব।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর