শেরপুরে ব্যবসায়িক পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের যে ধরে ক্ষুরের আঘাতে দুই পক্ষের দুইজন আহত হয়েছে। আহতরা এখন শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আহতরা হলেন- শহরের মাধবপুর মহল্লার পিপুল সরকার ও সঞ্জয় সাহা বাবন। এই ঘটনায় উভয়পক্ষ শেরপুর সদর থানায় পাল্টাপাল্টি এজাহার দাখিল করেছেন।
দুই পক্ষের আহত বাবন এবং মেহের খান অপু সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর শহরের মাধবপুর মহল্লায় অমরেন্দ্র মোহন সাহার ছেলে সঞ্জয় সাহা বাবন এর সাথে একই মহল্লার শফিকুল বারীর ছেলে মেহের খান অপু এবং ধীরেশ সরকারের ছেলে পিপুল সরকারের ব্যবসায়িক লেনদেন এর টাকা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
এরই জের ধরে বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সঞ্জয় সাহা বাবন তার মেয়েকে স্কুলে দিয়ে এসে ওই এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় পিপুল সরকার তার বন্ধু মেহের খান অপুকে সাথে নিয়ে ওই চায়ের দোকানের সামনে এসে বাবনকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে। এ সময় বাবন প্রতিবাদ করলে প্রকাশ্যে মেহের খান অপু তার সাথে থাকা ক্ষুর নিয়ে বাবনের উপর চড়াও হয়। এতে বাবনের হাত এবং পেটে ক্ষুরের আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে পড়ে। এদিকে এলোপাথাড়ি ক্ষুরের আঘাতে মেহের খান অপুর সাথে থাকা বন্ধু পিপুলেরও পেটে আঘাত লাগে। এতে সেও আহত হয়। পরে তারা দু’জনেই শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে শেরপুর সদর থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দাখিল করেন।
এ বিষয়ে মেহের খান অপু বলেন, ওই এলাকায় একটি সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে বাবন প্রকাশে ক্ষুর নিয়ে হামলা চালায় এতে আমার বন্ধু পিপুল সরকার গুরুতর আহত হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় আমার সাথে থাকা ব্যবসার প্রায় ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ক্ষুর মেরে আহত করে নিয়ে যায়।
অপরদিকে, সঞ্জয় সাহা বাবন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে মেহের খান অপু এবং পিপুল সরকারের কাছে ব্যবসায়িক প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে। ওই টাকা চাওয়ার জন্য আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকি দেওয়া হতো জানে মেরে ফেলার। এরই জের ধরে আজ সকালে আমার মেয়েকে স্কুলে দিয়ে এসে পাশের চায়ের দোকানে চা খেতে বসলে তারা প্রকাশ্যে আমাকে প্রথমে গালাগালি এবং পরে ধারালো ক্ষুর নিয়ে চড়াও হয়। এসময় ধারালো ক্ষুরের আঘাতে আমার হাত ও পেটে মারাত্মক জখম হয়। এদিকে অপুর এলোপাথাড়ি ক্ষুরের আঘাতে তার অপর বন্ধু পিপুল আহত হয়। পরে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থানায় গিয়ে মিথ্যে অভিযোগ দাখিল করেছেন।
এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়েদ আলম বলেন, মাধবপুরের মারামারির ঘটনায় পৃথক দুটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর