গাজার আল-আকসা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৫০ শিক্ষার্থী আনন্দে উচ্ছ্বাসিত, কারণ তারা প্রথম স্নাতক শ্রেণি যারা ইসরায়েলের গণহত্যার সময় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছেন। এই সময়ে গাজার শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে আঘাত পেয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা যুদ্ধের মধ্যেও পড়াশোনা শেষ করতে সক্ষম হয়েছেন এবং তাদের সাফল্য গাজার তরুণ সমাজের জন্য নতুন আশার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ২০২৩ থেকে গাজার শিক্ষা খাত যুদ্ধের কারণে প্রায় অচল ছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শ্রেণিকক্ষ, ল্যাব ও আবাসন অনেকাংশে ধ্বংস হয়েছে। সেই সব বাধা অতিক্রম করে এই গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান গঠন করা হয়েছে।
ছাত্র‑ছাত্রীরা শিক্ষাজীবনে বহুবার সময়সূচি পরিবর্তন, অনলাইন ক্লাস, প্রয়োজনে রিসোর্স‑ কমকাজ ইত্যাদি মোকাবিলা করেছেন। এই প্রসঙ্গে একজন শিক্ষার্থী বলেছেন, “আমরা মৃত্যুর কথা ভাবার পরিবর্তে এই উৎসব উদযাপন করতে চাই।”
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল:
এই সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থাপন শিক্ষা‑সংক্রান্ত আগ্রাসন এবং শিক্ষার্থীদের স্থিতিস্থাপকতা।
ফটোগ্রাফি ও ভিডিওতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীরা দব্কেহ নৃত্য করছেন, আবেগঘন ভাষণ দিচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা আশা প্রকাশ করেছেন, এই সাফল্য গাজার তরুণদের জন্য নতুন উদ্দীপনা হবে।
এই সনদ‑উৎসবের মাধ্যমে গাজার শিক্ষার্থীরা ঘোষণা করেছেন: “আমরা আমাদের জমি ছাড়ব না, শিক্ষার আলো নিয়ে সামনে এগিয়ে যাব।”
শিক্ষাবিদরা বলছেন, যুদ্ধের মধ্যে স্নাতকপাঠ সম্পন্ন করাও একটি প্রতিরোধমূলক কর্ম। এটি শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, সামাজিক প্রতিরোধ ও শিক্ষার অধিকার রক্ষার প্রতীকও বটে।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর