গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় অবস্থিত এক প্রাচীন বিদ্যালয় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবার চালু হয়েছে, যা স্থানীয় শিশুদের শিক্ষায় নতুন এক আশার আলো জ্বালিয়েছে। বিদ্যালয়টি প্রায় ৮০০ বছর পুরনো এবং যুদ্ধের কারণে বহু বছর ধরে বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম নিউজ.কম.এইউ।
দীর্ঘ সংঘর্ষ ও ধ্বংসযজ্ঞে গাজার শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে। অসংখ্য স্কুল ধ্বংস হয়ে গেছে বা আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই ঐতিহাসিক বিদ্যালয়ে ক্লাস পুনরায় শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য এক নতুন সূচনা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ভেতর শিশুদের ক্লাস করতে দেখা যাচ্ছে, যদিও স্কুলের অবকাঠামো এখনো পুরোপুরি মেরামত হয়নি। তবুও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মুখে রয়েছে আনন্দ ও প্রত্যাশা।
৮০০ বছর পুরনো এই বিদ্যালয়টি শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়—গাজার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও দৃঢ় প্রত্যয়ের প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত। যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শিক্ষার অধিকার পুনরুদ্ধারের এই পদক্ষেপ স্থানীয়দের জীবনে নতুন স্বপ্ন ও স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে এনেছে।

তবে চ্যালেঞ্জও কম নয়। বিদ্যালয়ের অবকাঠামো এখনো দুর্বল, পর্যাপ্ত শিক্ষা উপকরণ ও নিরাপদ ক্লাসরুমের ঘাটতি রয়েছে। শিক্ষকদের সংখ্যা সীমিত, আর দীর্ঘ শিক্ষাবিরতির কারণে শিশুরা মানসিক ও শিক্ষাগতভাবে পিছিয়ে পড়েছে।
শিক্ষা অব্যাহত রাখতে নিরাপত্তা, অবকাঠামো উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সহায়তা এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পুনরায় চালু হওয়া উদ্যোগটি যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় শিক্ষার পুনর্জাগরণের প্রতীক হয়ে থাকবে।
সূত্র: news.com.au,The Guardian, Reuters.
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর