আসন্ন জকসু নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুটি মামলায় ১৫ মাস কারাভোগকারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে তাকে ঘিরে ‘বহিরাগত’ তকমা এড়াতেই কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৬ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ও সহ-সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে খাদিজার নতুন দায়িত্বের বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন, সাংগঠনিক তৎপরতা, সক্রিয়তা ও দক্ষতার মূল্যায়ন হিসেবে খাদিজাতুল কুবরাকে যুগ্ম আহ্বায়কের পদে মনোনীত করা হয়েছে। তার মেধা, মনন এবং নিবেদিত অংশগ্রহণ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নতুন গতি যোগ করবে বলে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল বিশ্বাস করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এ মনোনয়ন অনুমোদন করেছেন।
নতুন দায়িত্ব পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় খাদিজাতুল কুবরা বলেন, “৫ আগস্টের আগে থেকেই সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে ছাত্রদল। আর সরকার পতনের পর জবি ছাত্রদলই শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে। নারী শিক্ষার্থী হিসেবে ছাত্রদল আমাকে যথেষ্ট সম্মান দিয়েছে। আমিও সংগঠনের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকতে চাই— এই বিশ্বাস থেকেই ছাত্রদলে থাকা এবং কাজ করা।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, প্রকাশ্য দায়িত্বে তাকে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ছাত্রদল তার অবস্থান পরিষ্কার করতে চাইছে এবং ‘বহিরাগত’ বিতর্কের অবসান ঘটাতে চাচ্ছে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, খাদিজা এক মাস আগে আমাদের দলের সদস্য ফরম পূরণ করেছিল। তার দলের প্রতি ভালো কার্যক্রম এবং বিগত ফ্যাসিস্টের সময় কারাবরণের কারণে এ পদ দেওয়া হয়েছে৷
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর