জুলাই গণঅভ্যুত্থান–সংক্রান্ত একটি মামলায় যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মিরণকে (মামলার ৭৩ নম্বর আসামি) মিথ্যা অভিযোগে জড়িয়ে হয়রানি করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন আমজনতা দলের সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান। বিষয়টি নিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন এবং বিভিন্ন টকশোতেও ঘটনা তুলে ধরেন।
তারেক রহমানের স্ট্যাটাস অনুযায়ী, প্রবাসী মিরণ ২৬ জুন বাংলাদেশে এসে ৬ জুলাই দেশে ফিরে যান। এরপর তিনি আবার ১৫ নভেম্বর দেশে এসে ২১ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। কিন্তু মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, তিনি ৩–৪ আগস্ট একটি সহিংস ঘটনায় অংশ নিয়েছেন—যা তার ভ্রমণ নথির সঙ্গে স্পষ্টভাবে সাংঘর্ষিক।

বিষয়টি নজরে আনার পর আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান তারেক রহমান। পরবর্তী তদন্তে দেখা যায়, মামলার বাদী ১২০ জন আসামির মধ্যে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের ছাড়া কাউকেই চেনে না। এমনকি প্রবাসী মিরণকেও তিনি চিনতে পারেননি।
তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে বাদী স্বীকার করেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি মিথ্যা মামলা দিয়ে চাঁদাবাজির চেষ্টা করছিলেন। সাক্ষী হাজির করতে না পারা, আসামিদের পরিচয় না জানা এবং অভিযোগের অসঙ্গতি মিলিয়ে পুলিশ মামলাটিকে ভিত্তিহীন বলে প্রতিবেদন দেয়।
তারেক রহমান জানান, জুলাই মাসের তথাকথিত গণঅভ্যুত্থান–সংক্রান্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে এটি তার পঞ্চম সফল উদ্যোগ। এ পর্যন্ত এসব মামলায় হয়রানি থেকে রক্ষা পেয়েছেন ৮০০–র বেশি নিরীহ নাগরিক।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর
অন্যান্য... এর সর্বশেষ খবর