সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৯ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে এই প্রত্যাহারপত্র জারি করা হয়।
যাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে তারা হলেন: তাহিরপুর উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম, জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল হক আফিন্দী, মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিছবাহ, দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আরিফুল ইসলাম জুয়েল, দিরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গোলাপ মিয়া, সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ছবি চৌধুরী, শাল্লা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গণেন্দ্র চন্দ্র সরকার, শাল্লা উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. সাইফুর রহমান এবং শাল্লা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক মোঃ আব্দুল মজিদ।
দলীয় প্যাডে উল্লেখ করা হয়েছে, "ইতোপূর্বে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে আপনাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আপনার আবেদনের প্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আপনার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হলো। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে। এখন থেকে দলীয় নীতি ও শৃঙ্খলা মেনে দলকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে আপনি কার্যকর ভূমিকা রাখবেন বলে দল আশা রাখে।"
চিঠির অনুলিপি সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জি কে গউছ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন ও মিফতাহ সিদ্দিকী, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন এবং স্বাক্ষর ক্ষমতাপ্রাপ্ত সদস্য অ্যাড. আব্দুল হকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়ার পর তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম জানান, তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন। তিনি বলেন, "জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আদর্শ ও নীতি মেনে নিজেকে পূর্বের ন্যায় দলের স্বার্থে কাজ করব। তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে আগামী দিনগুলোতে আন্দোলন-সংগ্রামে নিজেকে উৎসর্গ করব।"
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর