তেলের দাম সোমবারও পতন অব্যাহত রাখল, যা বিশ্ববাজারে গত সপ্তাহের হ্রাসকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এটি মূলত রাশিয়া–ইউক্রেন শান্তি আলোচনার অগ্রগতির প্রভাবে এবং মার্কিন ডলারের শক্তিশালী হওয়ার কারণে ঘটেছে।
ব্রেন্ট ক্রুড এক ব্যারেল প্রতি ৬২.৪২ ডলারে নেমেছে, যা ০.২২% হ্রাস, এবং ইউ.এস. ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) ৫৭.৯১ ডলারে নেমেছে, যা ০.২৬% কম। গত সপ্তাহে দুটি ক্রুড বেঞ্চমার্ক প্রায় ৩% কমেছে এবং অক্টোবর ২১-এর পর থেকে সর্বনিম্ন স্থায়ী মূল্য রেকর্ড করেছে। বাজার অংশগ্রহণকারীরা আশঙ্কা করছেন যে, রাশিয়া–ইউক্রেন শান্তি চুক্তি বাস্তবায়িত হলে মস্কোর ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা শিথিল হতে পারে এবং আগে নিষিদ্ধ হওয়া তেল সরবরাহ বাজারে প্রবাহিত হতে পারে।
IG-এর বিশ্লেষক টনি সাইকামোর বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাশিয়া–ইউক্রেন শান্তি চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ তেলের বাজারে বিক্রির প্রধান কারণ হিসেবে কাজ করছে। তাঁর মতে, শান্তি চুক্তির সম্ভাবনা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সাময়িক প্রভাবকে অনেকটাই প্রভাবহীন করে দিচ্ছে। শুক্রবার রুশ তেল কোম্পানি রোসনেফট ও লুকোইলের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে, যা প্রায় ৪৮ মিলিয়ন ব্যারেল রাশিয়ান ক্রুড সমুদ্রবন্দি রেখেছে।
রাশিয়া–ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে, যেখানে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন কিছু এলাকা ছাড়ার এবং NATO-তে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা পিছিয়ে দেওয়ার শর্তে সম্মত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বৃহস্পতিবার পর্যন্ত একটি চূড়ান্ত সমাধান আশা করছেন, যদিও ইউরোপীয় নেতারা আরও ভালো চুক্তির চেষ্টা করছেন।
এছাড়া, নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভের সভাপতি জন উইলিয়ামস “সন্নিকটে” সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত দেওয়ায় বাজারে সম্ভাব্য হ্রাসের আশা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, ডলারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় অন্যান্য মুদ্রা ধারকদের জন্য তেলের দাম আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে।
সূত্র-শাফাক নিউজ।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর