হংকংয়ের একটি আবাসিক কমপ্লেক্সের একাধিক বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত বেড়ে ৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। গুরুতর অবস্থায় আছেন আরও ৪৫ জন। এখনও ২৭৯ জন নিখোঁজ রয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অগ্নিকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। অঞ্চলটিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বসবাস নেই বলে জানিয়েছেন সেখানে বসবাসরতরা। আগুনে হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন হংকংয়ের শীর্ষ নেতা জন লি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৫১ মিনিটে হংকংয়ের তাইপো নগরীর ওয়াং ফুক কোর্ট নামের একটি আবাসিক কমপ্লেক্সে আগুন লাগে। মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে কয়েকটি ভবনে। আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করতে শুরু করে গোটা কমপ্লেক্স। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করে দমকল বাহিনী।
আগুন নেভাতে মোতায়েন করা হয় প্রায় হাজার খানেক দমকলকর্মী। অভিযান চালিয়ে ভবনগুলো থেকে বেশ কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগুন নেভাতে গিয়ে দমকলকর্মী নিহতেরও খবর পাওয়া গেছে।
অগ্নিকাণ্ডে আহত ও দগ্ধ কয়েকজনকে নেয়া হয়েছে হাসপাতালে। অনেকে এখনও নিখোঁজ থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অঞ্চলটিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বসবাস নেই বলে জানা গেছে।
ভবনগুলোয় সংস্কার কাজ চলায় বাইরের দিকে বাঁশ, নেট ও পলিস্টাইরিন বোর্ড দিয়ে ঘেরা ছিল। বাঁশ ও পলিস্টাইরিন বোর্ডের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে হংকংয়ের দমকল বিভাগ। অগ্নিকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ভবনগুলোর বাসিন্দাদের অনেককে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। দেয়া হয়েছে খাবার, প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র। বৃহস্পতিবার তাইপো এলাকার স্কুল বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে হংকং কর্তৃপক্ষ। আগুনের ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন হংকংয়ের শীর্ষ নেতা জন লি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
তাইপোর আবাসিক এলাকাটি বেসরকারি হাউজিং কমপ্লেক্স। এখানে কয়েকটি বহুতল ভবন রয়েছে। হাউজিং কমপ্লেক্সে প্রায় ২ হাজার ফ্ল্যাট ছিল। এই এলাকায় ৪ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি বাসিন্দা বাস করতেন। এর আগে ১৯৯৬ সালে হংকংয়ের কোউলুন এলাকায় একটি বাণিজ্যিক ভবনে আগুনে ৪১ জন প্রাণ হারান।
সূত্র: সিএনএন।
মাসুম/সাএ
সর্বশেষ খবর