বুঝে অথবা না বুঝে অনেকেই হারামভাবে সম্পদ উপার্জন করে ফেলেন। পরবর্তীতে নিজের ভুল বুঝতে পারেন এবং অনুশোচনা ভোগেন। কিন্তু হারামভাবে যে উপার্জন করেছেন তা থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে? অথবা হারামভাবে উপার্জিত সম্পদ কী করবেন? নাকি তওবা করলেই হারাম সম্পদ হালাল হয়ে যাবে?
হারামভাবে সম্পদ উপার্জনের পর যখন কেউ নিজের ভুল বুঝতে পারেন তখন শুধু তওবার মাধ্যমেই কেউ হারাম সম্পদ উপার্জনের গুনাহ থেকে মুক্ত হবেন না। প্রথম কর্তব্য হলো হারাম সম্পদ যার কাছ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে তার কাছে তা ফেরত দেওয়া। যেমন: যৌতুক, সুদ বা ঘুষের টাকা যার কাছ থেকে নেয়া হয়েছে, তাকে ফেরত দিতে হবে। প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে না দিয়ে শুধু তওবা করলে উপার্জিত হারাম সম্পদ হালাল হবে না।
আর যদি হারামভাবে উপার্জিত সম্পদ ফেরত দেওয়ার কোনো সুযোগ না থাকে, তাহলে সেই হারাম সম্পদ বিনা সওয়াবে দান করে দিতে হবে। যেহেতু সেই সম্পদের প্রকৃত মালিক সে নয়, তাই তা দানের সময় সওয়াবের নিয়ত করা জায়েজ হবে না।
হালালভাবে উপার্জনের গুরুত্ব
উপার্জনের ক্ষেত্রে ইসলাম সবসময় হালাল-হারামে গুরুত্ব দিতে বলেছে। কারণ, হারাম পন্থায় উপার্জন করলে বরকত নষ্ট হয়ে যায়। যার উপার্জন হারাম তার সারা জীবনই ধ্বংসের মুখে। কারণ, তার খাবার-দাবার, পোশাক সবই হারাম উপার্জনের এমনকি সন্তান-সন্ততির শরীরও হারাম খাবারে পূর্ণ। এক কথায় তার পুরো জীবন প্রতিষ্ঠিত হারামের ওপর। এমন ব্যক্তি অঢেল সম্পদ উর্পাজন করলেও বরকত থেকে বঞ্চিত ও আল্লাহর রহমত থেকে বিতাড়িত।
মাসুম/সাএ
সর্বশেষ খবর