সামরিক স্থাপনায় সশস্ত্র গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) হামলায় কমপক্ষে ১১৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪৬ জন শিশু রয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন আল জাজিরাকে নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার হামলার সময় প্রি-স্কুলে উপস্থিত ছিল শিশুরা। হামলার পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসা স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপরও আরএসএফ দ্বিতীয় দফা আঘাত হানে।
দুই সেনা সূত্র জানায়, হামলায় কিন্ডারগার্টেনের পাশাপাশি শহরের হাসপাতাল ও একটি সরকারি ভবনও লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
“স্কুলে শিশু হত্যা ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন,” শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন ইউনিসেফের সুদান প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট। তিনি অবিলম্বে হামলা বন্ধ ও মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর আহ্বান জানান।
হামলার বিষয়ে প্রথমে সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক জানায়, আরএসএফ ও তাদের মিত্র সুদান পিপলস লিবারেশন মুভমেন্ট–নর্থ (আল-হিলু) কয়েকটি আত্মঘাতী ড্রোন ব্যবহার করে প্রি-স্কুলসহ বেসামরিক অবকাঠামোতে হামলা চালায়। হামলায় নিহত হন চার শিশু ও দুই নারীসহ নয়জন।
পরদিন সংগঠনটি আরও জানায়, উদ্ধারকারীদেরও লক্ষ্য করে দ্বিতীয় দফা হামলা চালানো হয়।
খার্তুম থেকে আল জাজিরার হিবা মরগান জানান, আহতদের কাছে চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছানো কঠিন হওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
তৃতীয় বছরে প্রবেশ করা সুদানের গৃহযুদ্ধে আরএসএফ ও সরকারি সেনাবাহিনী (এসএএফ) উভয় পক্ষই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের মুখোমুখি। সম্প্রতি দারফুরের এল-ফাশের শহর পতনের পর কোরদোফান অঞ্চল তীব্র সংঘর্ষের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
কোরদোফান অঞ্চলটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ—একদিকে আরএসএফ নিয়ন্ত্রিত দারফুর, আরেকদিকে সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ও উত্তরাঞ্চল। এল-ওবেইদের মতো শহর দখল করতে পারলে রাজধানী খার্তুমের দিকে সরাসরি অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে আরএসএফের জন্য।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর