নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ যেকোনো নির্বাচনি অপরাধে এখন থেকে কেবল অনুসন্ধান নয়, সরাসরি বিচারিক ক্ষমতাও প্রয়োগ করবে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের মাধ্যমে এবার এই নতুন ক্ষমতা যুক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, প্রতিটি আসনের জন্য আগের মতো ৩০০ কমিটি থাকছে, তবে এবার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে গঠিত এসব কমিটি মাঠেই প্রয়োজনীয় বিচারিক ব্যবস্থা নিতে পারবে।
আগের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথমবারের মতো ৩০০ কমিটি গঠন করেছিল ইসি। বিভিন্ন অপরাধের কারণে তৎসময় মন্ত্রী-এমপি, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দলের মোট ২৯৬ জন প্রার্থীকে শোকজ করেছিল কমিশন। তখনকার আরপিও অনুসারে কমিটির কাজ ছিল অনুসন্ধান প্রতিবেদন জেলা নির্বাচন অফিসারের মাধ্যমে কমিশনে পাঠানো এবং কমিশনই সিদ্ধান্ত নিত। এবার সেই ব্যবস্থা বদলে কমিটিগুলোকেই বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিটি জেলায় যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সিনিয়র সহকারী জজদের নিয়ে গঠিত এসব কমিটির সুপারিশে গত নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ আসনের নৌকার প্রার্থী আকম বাহাউদ্দিন বাহারকে এক লাখ এবং বরগুনা-১ আসনের ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল ইসি।
সংশোধিত আরপিওর ৯১(এ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, অনুসন্ধান কমিটি এখন ফৌজদারি কার্যবিধির আওতায় প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে। নির্দিষ্ট কিছু অপরাধ সরাসরি আমলে নেওয়া ছাড়াও প্রয়োজন হলে মামলাটি উপযুক্ত আদালতে প্রেরণ করতে পারবে।
তদন্তে সহায়তার ক্ষেত্রে পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ সব ধরনের সহায়তা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। সহায়তায় ব্যর্থ হলে তা অদক্ষতা বা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারও কমিটিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবেন।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আরও জানান, বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ফুল কমিশনের সাক্ষাৎ হবে। সেদিনই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল রেকর্ড করা হবে। ওইদিন বা পরের দিন তফসিল ঘোষণা হতে পারে, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর